এশিয়া কাপে অবশেষে স্বস্তির জয় পেল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে আট রানে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। এই জয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ। ম্যাচ জয়ে অনবদ্য অবদান রাখেন নাসুম আহমেদ। তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন লিটন।
এই ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়ে প্রথম বলেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন নাসুম আহমেদ। বিপজ্জনক সেদিকউল্লাহ অটলকে লেগ বিফোর উইকেটের মাধ্যমে ফেরান তিনি। পরে ইব্রাহিম জাদরানকেও একইভাবে ফেরান তিনি।
ম্যাচে চার ওভারে ১১ রান খরচায় দুই উইকেট নেন নাসুম, হন ম্যাচসেরা। তার পাশাপাশি রিশাদ হোসেনও নেন দুই উইকেট। তাদের দারুণ বোলিংয়ে ১৪৬ রানে অল আউট হয় আফগানিস্তান।
এর আগে ব্যাটিংয়েও অসাধারণ পারফর্ম করে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। সাইফ হাসানের ২৮ বলে ৩০ এবং তানজিদ হাসান তামিমের ৩১ বলে ৫২ রানের সুবাদে ১৫ ওভার পার হতেই ১২০ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে বাংলাদেশ করে ১৫৪ রান।
ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, 'ম্যাচ জেতাটা অবশ্যই স্বস্তির ছিল, কিন্তু শেষ ৪-৫ ওভারে আমরা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আমার মনে হয়েছিল রান যথেষ্ট ছিল, তবে তবুও মনে হচ্ছিল আমরা ১৫-২০ রান কম করেছি।'
এ দিন ওপেনিং জুটিতে ৬.৪ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৬৩ রান। লিটন আরো বলেন, 'নাসুম আর রিশাদের বোলিং ছিল অসাধারণ, ওরা সত্যিই নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে। আজ তামিম দারুণ ব্যাট করেছে, ওপেনিং জুটিটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'
পরের পর্বে যেতে হলে এখন শ্রীলঙ্কার দিকে কিছুটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে শ্রীলঙ্কা হারিয়ে দিলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ। লিটন অবশ্য জানেন না শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করবেন কিনা। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'জানি না, দেখা যাক!'
ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন নাসুম আহমেদও। ইনিংসের প্রথম ওভার বোলিংয়ের দায়িত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত তিনি। পাওয়ার প্লে'তে বোলিংয়ের চ্যালেঞ্জ সবসময় নিতে চান তিনি।
নাসুম বলেন, 'আমি সবসময় নতুন বলে বোলিং করতে ভালোবাসি। যখন অধিনায়ক আমাকে ইনিংসের প্রথম ওভারটি করার জন্য বললেন, আমি খুব রোমাঞ্চিত হয়ে পড়ি। নিজের স্পেলের প্রথম বলেই উইকেট পেয়ে আমি দারুণ খুশি হয়েছিলাম।'
'যখন আমি প্রথম বলটি করতে গেলাম, তখন ঘামার কারণে বল ধরতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। আমি দ্রুত মানিয়ে নিই এবং ক্রস সিমে বল করতে শুরু করি।'
এমআর