জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ইসলামী দল আসন্ন নির্বাচনকে নস্যাৎ ও প্রলম্বিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেছেন, “ঐক্যমত কমিশনের বৈঠক চলাকালে অবস্থায় তারা আজকে রাজপথে এসেছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য। আসলে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রলম্বিত করা, পারলে নস্যাৎ করে দেওয়া। যাতে নির্বাচন না হয়… কারণ নির্বাচন যদি হয় তাদের কী পরিস্থিতি হবে আপনারা জানেন।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের মাধবপুর স্বপ্নীল কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) শেরপুর জেলা শাখার আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আসলে পিআর নিয়ে তারাও কিন্তু আন্তরিক নয়। তারাও পিআর চায় কিনা সন্দেহ। যদি তারা চাইতোই, তাহলে আরো ছয় মাস আগে ৩০০ আসনে তারা প্রার্থী ঘোষণা করে, প্রার্থীদেরকে ময়দানে নামিয়ে দিত না।
প্রিন্স বলেন, “হাটে মাঠে ঘাটে আমরা কথা বলি। চায়ের স্টলে বসি, মানুষকে জিজ্ঞেস করি চাচা, পিআর কি? কেউ কয় পেয়ালা, কেউ কয় পেয়ারা। আরেকজন বলে যে এই যে পেয়ালা সামনে আছে। আসলে পিয়ার নিয়ে তারা বুঝে না কিছু।”
তিনি বলেন, “গত ১৫-১৬ বছর মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে নাই। সেই জন্য গণতন্ত্র রসাতলে গিয়েছিল। জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি নাই। শুধু লুটপাট তন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল।
“এখন স্বৈরাচারের অবসানের পরে বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের যাত্রায় ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। এই ভোটকে যেভাবেই হোক আমাদেরকে সফল করতে হবে, অর্থবহ করতে হবে।
‘গাইবো মোরা গণতন্ত্রের গান, দুঃশাসনের হবেই অবসান’ শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারহানা চৌধুরী বেবি।
বক্তব্য দেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেজ আলী মামুন, শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লিয়াকত আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।
পাশাপাশি জাসাসের বিভিন্ন স্থানীয় নেতৃবৃন্দও কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন। শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইএ/টিকে