বাংলাদেশ দল যখন এশিয়া কাপের সুপার ফোরে মগ্ন, তখন আফগানরা ছক কষছে বাংলাদেশকে কীভাবে ঘায়েল করা যায়। এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়া দলটি বাংলাদেশের সুপার ফোর মিশন শুরুর দিনেই ঘোষণা করেছে নিজেদের বাংলাদেশ সিরিজের স্কোয়াড। এশিয়া কাপে দলের ভরাডুবির পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন করিম জানাত ও গুলবাদিন নাইব। দলে নেই পেসার ফজলহক ফারুকিও।
এশিয়া কাপের ভেন্যু আরব আমিরাতেই হবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। যার শুরুটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে, এরপর আছে তিনটি ওয়ানডে।
টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটার ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল, ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সালিম সাফি। বশির আহমেদ ও আব্দুল্লাহ আহমেদজাইকে দুই ফরম্যাটের দলেই ডাকা হয়েছে। টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা ধরে রেখেছেন মুজিব উর রহমান। তবে নেই ওয়ানডে দলে।
রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন টি-টোয়েন্টি দলের সদস্যরা হলেন- ইবরাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ আতাল, রাফিউল্লাহ তারাখিল, দারউইশ রাসুলি, মোহাম্মদ ইসহাক, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, শরফউদ্দিন আশরাফ, নূর আহমেদ, মুজিব উর রহমান, ফরিদ মালিক, আব্দুল্লাহ আহমেদজাই ও বশির আহমেদ।
এই দলে রহমত শাহ ও এএম গাজানফার আছেন রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে। ওয়ানডে দলে অবশ্য মূল স্কোয়াডেই আছেন গাজানফার ও রহমত।
হাশমতউল্লাহ শহিদির নেতৃত্বে দলটিতে আরও রয়েছেন ইবরাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ আতাল, দারউইশ রাসুলি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ইকরাম আলিখাইল, মোহাম্মদ নবী, নাঙ্গিয়াল খারোটি, রশিদ খান, সালিম সাফি, আব্দুল্লাহ আহমেদজাই ও বশির আহমেদ। ওয়ানডে দলে রিজার্ভ খেলোয়াড় বিলাল সামি ও ফারিদুন দাউদজাই।
এশিয়া কাপের ঠিক পরপর ২ অক্টোবর শুরু হবে আফগানিস্তান-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ৩ ও ৫ অক্টোবর।
এরপর ৮, ১১ ও ১৪ অক্টোবর দুই দল লড়বে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজে। দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ের দিবারাত্রির প্রতিটি ম্যাচই হবে মরুদেশ আরব আমিরাতে।
এমআর/টিকে