আজ আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস। দিবসটিকে বিশ্ব শান্তি দিবসও বলা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে উদ্যাপিত হয় দিবসটি।
শান্তি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এ দিবসটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত দিবসটির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন এবং সেই লক্ষ্যে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলগুলোতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া।
কোনো দেশে যুদ্ধ হলে সে প্রভাব শুধু সংঘাতপীড়িত অঞ্চলে নয়, বরং পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে। তাই এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বিশ্বের প্রতি আহ্বান’।
প্রতিবছর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘শান্তির ঘণ্টা’ বাজানো ও বিশেষ বাণী প্রদানের মধ্য দিয়ে দিবসটির উদযাপনের সূচনা হয়।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এই দিনে বিশেষ আয়োজন করে থাকে।
দিবসটি ১৯৮২ সাল থেকে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। তবে সে সময় প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় মঙ্গলবার দিবসটি উদ্যাপন করা হতো। এভাবে ২০০২ সাল পর্যন্ত শান্তি দিবস উদ্যাপিত হয়।
তবে এরপর থেকে পাকাপাকিভাবে ২১ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এই দিনটি উদ্যাপন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সকলের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সদ্ভাব বজায় রাখা।
বিশ্বে শান্তি না থাকলে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। পৃথিবীতে শান্তির এই প্রয়োজনীয়তাও মনে করিয়ে দেয় দিবসটি।
এমআর/এসএন