ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ৪ দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি জানানোকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, এটি চূড়ান্ত স্বাধীনতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি পদক্ষেপ। বিশ্লেষকদের ধারণা, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বিতর্কে উত্তাপ ছড়াবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ইস্যু।
এ যেন অকল্পনীয় ভয়াবহতা। ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্যাতিত ফিলিস্তিন ভূখন্ডের মানুষ। প্রায় দুই বছর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু শিশু হতাহত হয়েছে অর্ধ লাখেরও বেশি।
হত্যাযজ্ঞ আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ঘটনায় স্তম্ভিত বিশ্ববাসী। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে প্রভাবশালী যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল।
একদিনে ফিলিস্তিনকে চার দেশের স্বীকৃতি দেয়ার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ইসরাইল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাইলেও তা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানায় ঢাকা। গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সেই অবস্থান ধরে রেখেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেহেতে সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিলাম, ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন করে এসছি, কাজেই চার দেশের স্বীকৃতিকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি এটা একটা সুখবর।
যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে দেড়শো'র বেশি দেশের প্রত্যক্ষ সমর্থন পেলেন স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিরা। এটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখলেও ফিলিস্তিন জনগণকে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিশ্বের আরেক প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশ ফ্রান্স শিগগিরই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছে। এটি হলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে চারটিরই স্বীকৃতি পাবে ফিলিস্তিন।
ইএ/এসএন