নেপালের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন সুশীলা কার্কি। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এটি পারবে কেবল নির্বাচিত পার্লামেন্টই।
তরুণ জেন-জি প্রজন্মের আন্দোলনের পর তাদেরই পছন্দে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান দেশটির সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে প্রথমবারের মতো ভাষণ দেন তিনি। কথা বলেন, দেশটির শাসন ব্যবস্থা নিয়ে। এ নিয়ে নেপালে নতুন করে শুরু হয়েছে উত্তেজনা।
নেপালের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের এখতিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে জানিয়ে দেন সুশীলা কার্কি। এটি শুধু নির্বাচিত পার্লামেন্টই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে পারবে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্টের কাছে এসব দাবি তুলে ধরতে জেন-জিদের আহ্বান জানান সুশীলা।
নেপালের বর্তমান পার্লামেন্ট পদ্ধতিতে প্রতিনিধি সভা থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। আর সরাসরি নির্বাচিত নির্বাহী প্রধান চাইলেও সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন। যদিও এর জন্য প্রয়োজন হবে মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গঠিত পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট।
আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলেও জানান সুশীলা। এমনকি, বিদেশে বসবাসরত নেপালি নাগরিকদের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করছেন বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। একইসঙ্গে দুর্নীতি কমানো, সহজলভ্য সরকারি সেবা এবং নাগরিকদের হয়রানি বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।
সূত্র: দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট
ইএ/টিএ