সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া

‘কোমলমতি বাচ্চা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লেবাস ধরে থাকে জামায়াত-শিবির’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের প্রথম নির্বাচনেই ব্যর্থ হয়েছেন। ডাকসু নির্বাচন ছিল সাজানো। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সরকারের ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেত্রী সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া। সম্প্রতি একটি টক শোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ডাকসু নির্বাচন সাজানো ছিল দাবি করে পাপিয়া বলেন, ‘আলফালাহ প্রিন্টিং প্রেস থেকে যদি ব্যালট ছাপানো হয়, বিজি প্রেস ছাড়া, এই ব্যালট আপনি আস্থা রাখতে পারেন? কোনোটা নাম্বার আছে, কোনোটা নাম্বার নাই। ভোট কে দিল কে দিল না, ছবি ছাড়া ভোটার লিস্ট কিভাবে হয়? আপনার ভোট আমি দিয়ে আসলে কে দেখবে? তো এগুলোই তো হয়েছে এখানে। এই যে ইউনূস সরকারের প্রথম ভোট, এটা তো পরিকল্পিত ভোট। এটা তো একটা নির্দিষ্ট রেজাল্ট শিট তৈরি করার ওপর দিয়ে একটা ঘটনা।

জাতীয় রাজনীতিতে আপনি আস্থা কিভাবে পাবেন? তারা প্রথমেই একটা ব্যাপক অনিয়ম করে ফেলল এবং ভুল করল। এবং তাদের পাতানো খেলায় আমরা পা দিলাম। তাদের পাতানো খেলায় দেশবাসী আজকে হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যাওয়ার জায়গাটা কোথায়? দেশবাসী বলেন আর যার কথাই বলেন, সবাই তো একটা সুস্থ নির্বাচন চাইছে।

একটা ছাত্র সংগঠনের ১৪ হাজার ২০ হাজার কি ৫০ হাজার ছাত্রদের নির্বাচন যারা সুস্থ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে পারে না, এত সীমাবদ্ধতা এত সংকীর্ণতা এত আত্মকেন্দ্রিক! তো সেখানে জাতীয় নির্বাচনে কোটি কোটি মানুষের ভোট, এখানে কে আশা করে আমি জানি না। তবে আমি আশাহত হলাম।’

জামায়াত-শিবিরের গুপ্ত ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রসঙ্গে পাপিয়া বলেন, ‘এদের সঙ্গে সংগঠনে টিকতে গেলে এদের সবকিছুর সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। এরা কুমনবৃত্তি এবং মানুষকে কু-প্রলোভন, কু-পরামর্শ দিয়ে মানুষের বিপদে একটা লেবাস ধরে বিপদের বন্ধু বলে পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু মনোবৃত্তি এমন যে সবাইকে ইসলামী ছাত্রশিবির করতে হবে।

এই যে তারা হিন্দুদের ফরম ফিলাপ করছে, এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে যে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের খুব আস্থাশীল জায়গায় তারা পৌঁছে গেছে। এগুলো সব ফেক। কারণ আমার এলাকাতে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করছি যে তোরা ফরম ফিলাপ কেন করেছিল? তো তারা যে কারণটা বলল সেটা ধরেন তাদের বেঁচে থাকার জন্য একটা কারণ। তো এখন তারা সৎ লোকের শাসন চায় আর হচ্ছে কোরআনের আইন চায়। ইসলামী ছাত্রশিবির বলেন আর জামায়াতে ইসলামী বলেন, এই যে কোমলমতি বাচ্চাদের প্রতারণা করতে করতে বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারপ্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তাদের আবার বিতর্কের একটা মঞ্চ করছে, তাদের সংগীতের একটা ব্যাপার করছে। সব জায়গাতে তারা এইভাবে ঢুকেছে। মানুষের যে চরিত্র, মানুষের যে নীতি, মানুষের যে নৈতিকতা, সে জায়গায় হাত দিয়ে বসছে এরা।’

ইএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি Sep 27, 2025
img
হামজাদের হংকং মিশনে ২৮ জনের মধ্যে নেই কিউবা মিচেলে! Sep 27, 2025
img
ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ফিফা ও উয়েফার কাছে চিঠি দিয়েছে তুরস্ক Sep 27, 2025
img
আর কখনও পচা নির্বাচন করব না: ইসি সানাউল্লাহ Sep 27, 2025
img

বিসিবি নির্বাচন

পরিচালক পদের জন্য মনোনয়নপত্র কিনলেন তামিম ইকবাল Sep 27, 2025
img
দেশে ফের ভূমিকম্প! Sep 27, 2025
img
‘থামা’তে নোরা ফাতেহির ঝলমলে অভিষেক Sep 27, 2025
img
নির্বাচকের চাকরি ছেড়ে বিসিবি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কিনলেন আবদুর রাজ্জাক Sep 27, 2025
img
নির্বাচনে লড়বেন নেপালের জেন-জি নেতা সুদান গুরুং Sep 27, 2025
‘তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই’ Sep 27, 2025
জাতিসংঘের ভাষণে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জোর দাবী জানালেন ড.ইউনূস Sep 27, 2025
‘অল্প সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছে’ Sep 27, 2025
img
বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার বিষয়ে বার্তা দিলেন সোহেল তাজ Sep 27, 2025
জাতিসংঘের বহুপাক্ষিক কূটনীতির অপরিহার্যতা নিয়ে যা বললেন ড.ইউনূস Sep 27, 2025
img
ম্যাডক হরর কমেডি ইউনিভার্সে নতুন দিগন্ত, আসছে ‘ছোটী স্ত্রী’ Sep 27, 2025
img
থামার ট্রেলারে হরর আর প্রেমের রসায়ন Sep 27, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারকে নস্যাৎ করতে পরিকল্পিত ভাবে প্রচেষ্টা চলছে: রিজভী Sep 27, 2025
img
থামায় বরুণের চরিত্র এনেছে নতুন মোড় Sep 27, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছর, তবুও ফেরত পাঠানো হলো ভারতে Sep 27, 2025
img
চকবাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার Sep 27, 2025