কেন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারেননি ওবামা?

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একইসঙ্গে ইসরাইলের সব নীতিতে একমত না হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আয়ার‌ল্যান্ডের ডাবলিনে এক অনুষ্ঠানে বারাক ওবামা বলেন, এরইমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজাকে আরও গুঁড়িয়ে দেয়ার কোনো সামরিক যুক্তি নেই। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষেও বক্তব্য দেন তিনি।

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,
আমি মনে করি আমাদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা যারা সহিংসতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নই তাদের এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই মুহূর্তে শিশুদের অনাহারে থাকতে দেয়া যেতে পারে না। এরইমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকাকে আরও গুঁড়িয়ে দেয়ার কোনো সামরিক যুক্তি নেই।

ওবামার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজায় যে মানবিক সংকট চলছে তা উপেক্ষা করা অগ্রহণযোগ্য এবং উভয় পক্ষকে এমন একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে যেখানে একটি নিরাপদ ইসরাইলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র এবং স্বায়ত্তশাসন বিদ্যমান থাকবে।’

গাজা যুদ্ধ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বিরল মন্তব্য এমন সময় এল, যখন নিউইর্য়কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এই সংঘাত নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার জাতিসংঘের অধিবেশনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের শুরুতে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশন কক্ষ বর্জন করেন। বক্তব্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান নেতানিয়াহু।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জটিল সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘আমরা সব সময় সব বিষয়ে একমত ছিলাম না।’

তিনি বলেন,
দুঃখজনকভাবে, অনেক সময় নেতৃত্ব এবং রাজনীতিবিদরা এমন একটি স্বার্থপর সম্পর্ক বজায় রাখেন যে এটা শুধু ‘আমরা বনাম তারা’। কারণ এতে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা সহজ হয়। এটা একটি প্রলোভনমূলক খেলা। আমি আমার প্রেসিডেন্সির সময় লক্ষ্য করেছি আমি ওই অঞ্চলে জনপ্রিয় ছিলাম না, কারণ আমি তাদেরকে এ ব্যাপারে সমালোচনা করতাম। ফলত: আমি এবং ইসরাইলের তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম না।

সূত্র: সিএনএন

ইএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ Nov 16, 2025
img
কলকাতার সঙ্গে ১১ বছরের পথচলা শেষ আন্দ্রে রাসেলের Nov 16, 2025
img
বিএনপি যা অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে : খোকন Nov 16, 2025
img
আগামী নির্বাচনই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কাজ করবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Nov 16, 2025
img
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই : প্রেস সচিব Nov 16, 2025
img
শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির ১ মামলার শুনানি আজ Nov 16, 2025
img
সংবিধান সংশোধন নিয়ে পাকিস্তানে অস্থিরতা, পদত্যাগ আরেক বিচারপতির Nov 16, 2025
img
কাতারে কঙ্গো সরকারের সঙ্গে কঙ্গো রিভার অ্যালায়েন্স একটি নতুন শান্তিচুক্তি সই Nov 16, 2025
img
তারেক রহমানের ৩১ দফাই রাষ্ট্র গঠনে সর্বজনীন দিকনির্দেশনা: মনিরুল হক চৌধুরী Nov 16, 2025
img
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন : ফরিদা আখতার Nov 16, 2025
img
লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, প্রাণ হারালেন ৪ বাংলাদেশি Nov 16, 2025
img
বিচারকদের কলমবিরতি পালন কর্মসূচি প্রত্যাহার Nov 16, 2025
img
চাঁদাবাজির সময় ইউপি সদস্যসহ আটক ১০ Nov 16, 2025
img
বেহেশতের কথা বলে ভোট চাওয়া দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: আমান উল্লাহ Nov 16, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় সাবেক ভিসিসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আজ ১৪তম দিনের সাক্ষ্য Nov 16, 2025
img
গাড়ি থেকে লোহার রড ছুটে এসেছিল বিবেকের দিকে Nov 16, 2025
img
রাজধানীতে সকালের তাপমাত্রা ১৯.৪ ডিগ্রি, আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা Nov 16, 2025
img
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Nov 16, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনকে অর্থবহ করতে আগে গণভোট প্রয়োজন: ড. হেলাল উদ্দিন Nov 16, 2025
img
ভারতে উচ্ছেদ অভিযানে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালো বিএসএফ Nov 16, 2025