বাংলা ও বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার শানুর সাবেক স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অবহেলা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে তিনি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন রীতাকে।
রীতার অভিযোগ, তৃতীয় সন্তানসম্ভবা অবস্থায় শানু ও তার পরিবার তাকে খাবার ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে রীতা বলেন, ‘তিনি আমার সন্তানদের দুধ দেননি, চিকিৎসাও দেননি। দুধওয়ালাকে বলে দেওয়া হয়েছিল যেন আর আমাদের বাসায় না আসে। কিন্তু সে নিজের মানবিকতায় দুধ দিয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসককেও একইভাবে বাধা দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও দাবি করেন, বিবাহবিচ্ছেদের সময় শানু তাকে মাত্র ১০০ টাকা দিয়েছিলেন। ‘আমি আমার সব গয়না বিক্রি করেছি। জীবনে যেমন চূড়ান্ত সুখ দেখেছি, তেমনি চরম দুঃখও দেখেছি,’ বলেন রীতা।
২০০৫ সালের মুম্বাই বন্যার সময় দুই ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাও তিনি তুলে ধরেন। রীতা বলেন, ‘সেই রাতে আমি ছেলেদের খুঁজে মরিয়া হয়ে ঘুরেছি। ভয়ংকর সময় ছিল। ভাবছিলাম হয়তো ওদের আর পাব না। এমন সময়ও তিনি খোঁজ নেননি, বাচ্চারা বেঁচে আছে কি না।’
অন্যদিকে কুমার শানুর আইনজীবী সানা রইস খান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চার দশক ধরে কুমার শানু সঙ্গীতে প্রাণ ঢেলে কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা সাময়িক আলোড়ন তুলতে পারে, কিন্তু তা কখনোই তার সঙ্গীতজীবনের অর্জনকে মুছে দিতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করব, যাতে তার মর্যাদা, উত্তরাধিকার ও পরিবারের সম্মান রক্ষা করা যায়।’
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে রীতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কুমার শানুর বিয়ে হয়। তবে ১৯৯৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরে অভিনেত্রী কুনিক্কা সদানন্দের সঙ্গে কিছুদিন সম্পর্কে জড়ালেও তা টেকেনি। ২০০১ সালে শানু সালোনি ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের দুই কন্যা রয়েছে।
টিজে/এসএন