ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা। সাধারণত এই সময়ে ঘাটে থাকে জেলেদের হাকডাক, মাছ বিক্রির ধুম। কিন্তু আজ তা নেই। দুই-তিনজনকে দেখা গেলেও তারা ব্যস্ত ছিলেন আড়ৎ ধোয়া-মোছার কাজে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই আইন অমান্য করলে মৎস্য আইনে রয়েছে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণে জেলেদের সহযোগিতা প্রশংসনীয়।
আব্দুর রহিম নামে এক জেলে দেশের একটি গণমাধ্যমকেকে বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে নিষেধাজ্ঞা মানার কারণে ইলিশের সংখ্যা বাড়ে। আমরা জানি দীর্ঘমেয়াদে এটা আমাদের উপকার করবে। তবে সামান্য অসুবিধা হচ্ছে, আয় বন্ধ থাকায় সংসার সামলানো কঠিন।
কুতুবউদ্দিন বাবু নামে চেয়ারম্যান ঘাটের অন্য একজন ব্যবসায়ী দেশের একটি গণমাধ্যমকেকে বলেন, আমরা সচেতন আছি। আমাদের সাথে যারা জড়িত সকলকে সচেতন করেছি।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ নিয়মিত পরিদর্শন চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে কেউ আইন অমান্য করতে না পারে।
চেয়ারম্যান ঘাটের ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন দেশের একটি গণমাধ্যমকেকে বলেন, আজ ঘাটে অনেকটা নীরবতা, শুধু ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। সবাই সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে ইলিশ সংরক্ষণে কাজ করছে। আমরা চাই সবাই আইন মেনে ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করুক।
সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল দেশের একটি গণমাধ্যমকেকে বলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার পৌর বাজার ও সোনাপুর বাজারের মাছ বাজার এবং আড়তে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে ইলিশ মাছ না পাওয়া গেলেও শিং মাছের সঙ্গে রং মিশানোর ঘটনায় একজন বিক্রেতাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিনষ্ট করা হয়েছে। এমন ধরনের অভিযান ও মোবাইল কোর্ট ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, যা গ্রাহককে সঠিক ও সতেজ মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন দেশের একটি গণমাধ্যমকেকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে নদী ও সাগরে টহল অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই সবাই আইন মানুক, যাতে ইলিশের প্রজনন ও ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।
এমকে/টিকে