জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, আমাদের দেশে যতগুলো সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন আদালত, কী কী যুক্তিতে করেছেন? বলেছেন যে এগুলো অসাংবিধানিক, কারণ এগুলো আমাদের বেসিক স্ট্রাকচারকে ভায়োলেট করে। পঞ্চম সংশোধনী, অষ্টম সংশোধনী, পঞ্চদশ সংশোধনী— এগুলোর ব্যাপারে এটাই যুক্তি। আদালতের কাজ হচ্ছে সংবিধানকে সমুন্নত রাখা। সংবিধানকে প্রটেক্ট করা। সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচার রক্ষা করা।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এসে তুষার এসব কথা বলেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, আমরা যদি এখন সিদ্ধান্ত নিই এই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার মধ্যে থাকব না, একটা নতুন সংবিধান করব। কী সমস্যা? কোনো সমস্যা নেই।
যদি আমরা এই ৭২-এর সংবিধানটাকে পোস্টপোন করি, তাহলে দেশে নাকি এনার্কি হবে। এগুলো শুনলে খুব অবাক লাগে। আমরা আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের না, তবু এগুলো বুঝি, ওনারা বোঝেন না কেন?
তুষার বলেন, ল কন্টিনিয়েন্স এনফোর্সমেন্ট অর্ডার নামে একটা জিনিস আছে যে আমরা আজকে সংবিধানটা বাতিল করে দিলাম। কিন্তু ল কন্টিনিয়েন্স এনফোর্সমেন্ট অর্ডার আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষা, এইটার আরেকটা ডিগ্রি জারি করে আমরা বলব, নতুন সংবিধান হওয়ার আগ পর্যন্ত পুরনো সংবিধানের আইনগুলো দ্বারা চলবে।
তবে সংবিধানের এখনকার যে আদেশ, এটার সঙ্গে বিদ্যমান সংবিধানের ওইসব আইনের যেগুলো সাংঘর্ষিক, সেগুলো প্রাধান্য পাবে না। সিম্পল, এভাবেই চলা যায়। এটা কোনো সমস্যা না।
তুষার আরো বলেন, যদি ’৭২-এ সংবিধানের এই বেসিক স্ট্রাকচারকে মানেন, তাহলে এই সংবিধানের অধীনে গঠিত সংসদের কাছে যেটার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রায় আছে— যেটা অসাংবিধানিক হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ অষ্টম সংশোধনী, সেটার ব্যাপারে আবার যেতে পারবেন না পার্লামেন্টের কাছে। ফলে মেনে নিচ্ছেন বেসিক স্ট্রাকচারটা চেঞ্জ করতে হবে। বেসিক আদালতের কাজ কী?
ইএ/টিএ