টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করার আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে দুই দলের জন্যই এই সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ।
আফগানরা এই মুহূর্তে র্যাংকিংয়ে ৭ নম্বরে থাকায় কিছুটা নিরাপদ অবস্থানে আছে যদিও, তবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে এই সিরিজ থেকে ৫ রেটিং পয়েন্ট নিতে চাইবেন মেহেদী হাসান মিরাজরা।
একেবারে সহজ সমীকরণ।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়েতে। এই তিন দেশের মধ্যে স্বাগতিক হিসেবে প্রোটিয়ারা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। এর বাইরে র্যাংকিংয়ের সেরা ৮ দলও সরাসরি যাওয়ার টিকিট পাবে। অর্থাৎ বাছাই পর্ব এড়াতে হলে ৯ নম্বরের মধ্যে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।
কিন্তু লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা বর্তমানে ৭৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে আছে। ৮০ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ শুরু হতে যাওয়া ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয়দের ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের। টি-টোয়েন্টির মতো এই সিরিজেও রশিদদের ধবলধোলাই করতে পারলে এই লক্ষ্য পূরণ হবে মিরাজদের।
৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে বাংলাদেশ দল পাবে ৫ রেটিং পয়েন্ট। অর্থাৎ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে হবে ৮২ এবং ৮ নম্বরে উঠে আসবে তারা। যদি ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে, তাহলে ২ পয়েন্ট বাড়বে, ৭৭ থেকে দাঁড়াবে ৭৯ পয়েন্টে। সে ক্ষেত্রে মিরাজরা থাকবেন ১০ নম্বরেই। যদিও সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আরো একটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে তারা। তাই আফগানদের বিপক্ষে সিরিজে এগিয়ে যেতে পারলে তখন কিছুটা চাপমুক্ত থাকবে বাংলাদেশ দল।
পরিসংখ্যানে অবশ্য এগিয়ে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে দুই দলের মুখোমুখি ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ১১টিতে, আফগানরা ৮টিতে। সর্বশেষ সিরিজেও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ট্রফি নিয়েই ফিরেছিলেন মিরাজরা। যদিও এবার দীর্ঘদিন পর এই সংস্করণে খেলতে নামবেন মিরাজরা। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলের তিন মাস আগে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর জাকের আলী জানিয়েছেন, এসব নিয়ে না ভেবে নিজেদের প্রস্তুতিতেই জোর দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
কেএন/টিকে