রসায়নবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৫ সালের নোবেল জয়ীর নাম জানা যাবে আজ বুধবার। সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে) রসায়নে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করবে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
গত ৬ অক্টোবর, সোমবার (৬ অক্টোবর) চলতি ২০২৫ সালের প্রথম নোবেল ঘোষণা করা হয়। সেদিন চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর যৌথভাবে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী মেরি ই. ফ্রাঙ্কো ও ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের গবেষক শিমন সাকাগুচি। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
পরের দিন মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন মার্কিন বিজ্ঞানী জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরেট এবং জন এম মার্টিনিস। বৈদ্যুতিক বর্তনীর মধ্যে স্থূল কোয়ান্টাম যান্ত্রিক টানেলিং এবং শক্তির কোয়ান্টাইজেশন আবিষ্কারের জন্য নোবেল দেওয়া হয়েছে তাদের।
আজ ঘোষণা করা হবে রসায়নে নোবেলজয়ীর নাম। গত বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন ৩ জন রসায়নবিজ্ঞানী। এরা হলেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার। এদের মধ্যে ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের এবং ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’- এ অবদান, অর্থাৎ নতুন ধরনের একটি প্রোটিন তৈরির জন্য নোবেল দেওয়া হয়েছিল ডেভিড বেকারকে। এটি ছিল খুবই জটিল এবং প্রায় অসম্ভব একটি গবেষণা।
আর ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পারকে নোবেল দেওয়া হয়েছিল ‘প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন’ বিষয়ে অবদান রাখার জন্য। দুই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছেন যা দিয়ে ৫০ বছরের পুরোনো ‘প্রোটিনের জটিল কাঠামো অনুমান করার’ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
আগামীকাল ৯ অক্টোবর বিকেল ৫টায় সাহিত্যে এবং ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এর পর ১৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম।
১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য- এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।
পিএ/টিকে