ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েল চুক্তিতে রাজি হলে আজ বুধবারই (৮ অক্টোবর) গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
তিনি বলেছেন, “আজ যদি সব পক্ষ ঐকমত্য হয়। তাহলে আজই যুদ্ধবিরতি হবে। সব পক্ষ বন্দি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।”
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন তার্কিস মন্ত্রী। এ সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
হাকান ফিদান বলেছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য চারটি বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এগুলোতে আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছুই অর্জিত হয়েছে। চারটি বিষয় হলো— ইসরায়েলি জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের সীমারেখা, মানবিক সহায়তা এবং সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির শর্ত।
গাজার যুদ্ধ বন্ধে মিসরের শার্ম এল-শেইখে আলোচনা চলছে। আর এ আলোচনা ইতিবাচক হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল-ফাত্তাহ এল-সিসি।
আজ কায়রোতে পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্র্যাজুয়েশেন অনুষ্ঠানে সিসি বলেন, “গতকাল কাতার, মিসর এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা শার্ম এল-শেইখে পৌঁছেছে। আর আমি আলোচনাস্থল থেকে যে খবর পাচ্ছি এগুলো খুব আশা জাগানিয়া।”
মিসর যুদ্ধ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন সিসি।
তিনি আরও বলেন, “একটি যুদ্ধবিরতি, বন্দি ও আটকের ফিরিয়ে আনা, গাজা পুনর্গঠন এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করবে— এটির অর্থ হলো আমরা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার সঠিক পথে রয়েছি।”
যদি চলমান আলোচনার মাধ্যমে গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও যুদ্ধবিরতি হয় তাহলে চুক্তিটি স্বশরীরে করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেকে মিসরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
ইএ/টিকে