রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, আইসিটি আইনে নতুন ২০-সি ধারা যোগ হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মুহূর্ত থেকেই কেউ আর সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। স্থানীয় সরকারের নয় এমনকি প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিও নয়। ট্র্যাইবুনাল অভিযোগ আমলে নেবে কি নেবে না তার আগেই এই অযোগ্যতা কার্যকর করা হচ্ছ্মা গেজেট বের হবার সঙ্গে সঙ্গে বিধানটি বলবৎ, এটাই এখন দেশের আইন।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন। জিল্লুর রহমান বলেন, বিধানটি প্রেজাম্পশন অব ইনোসেন্সের সঙ্গে সরাসরি টানাপোড়েন তৈরী করছে। অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশে জনপ্রতিনিধিত্বের যোগ্যতা হারানোর থ্রেশোল্ড হলো দ্বন্ধ বাড়ায়।
তদন্ত অভিযোগ পর্যায় নয়। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কিত মামলায় বহু আগেই সংবিধানের ৪৭ ক যোগ করে কিছু মৌলিক প্রতিকার সীমিত করা হয়েছিল। এ আইনি ঐতিহ্যকে ভিত্তি করেই রাষ্ট্র এখন আরো এক ধাপ এগলো।
জিল্লুর বলেন, এই একধাপ কি রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয় শর্ত? নাকি ন্যায়ের স্কেলে অতিরিক্ত ভার? এই মুহূর্তে রাজনীতির মাঠে এর বাস্তব প্রভাব বিরাট। গত এক বছরের জুলাই-আগস্টের যে অভ্যুত্থান, অস্থিরতা তার প্রেক্ষাপটে যাদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের তালিকা বড় এবং উচ্চ প্রোফাইল। ফলে অভিযোগ গঠনের সাথে সাথেই বড় বড় শূন্যতা তৈরি হতে পারে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং প্রশাসনিক নিয়োগে।
জিল্লুর আরো বলেন, এই ডিসকোয়ালিফিকেশনের ইমিডিয়েটসি রাজনীতিতে একটি নতুন প্রেসার সংকট তৈরি করবে। দলগুলো প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে জোট ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত হিসেবটা বদলাতে বাধ্য হবে। একই ধারাবাহিতায় আমরা দেখছি সংগঠন সমষ্টিগত দায়বদ্ধতার রাস্তাও আইনে খোলা পেছে।
২০-এর বি ধারা যুক্ত হওয়ার পর দল বা সংগঠনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতীয়মান হলে ট্রাইবুনাল কার্যক্রম স্থগিত নিষিদ্ধকরণ থেকে সম্পদ বাজেয়াপ্ত এমন বিস্তৃত প্রতিকার দিতে পারে।
এবি/টিকে