সোনার দাম বাড়ায় বিয়ের খরচ বৃদ্ধি, পাকিস্তানিদের বিকল্প কী?

টালমাটাল অর্থনীতি আর আকাশছোঁয়া সোনার দামে পাকিস্তানে বিয়ের আয়োজনেও বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। বর্তমানে প্রতি তোলা সোনার দাম প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার রুপি, যা অনেক পরিবারের কাছে স্বপ্নের গহনা কেনাকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে।

গহনার ঝলমলে ঐতিহ্য ধরে রেখেও অনেক পাকিস্তানি পরিবার এখন খুঁজছে সাশ্রয়ী বিকল্প, যা স্টাইলিশ, টেকসই এবং অর্থবহ।


স্থানীয় বাজার, অনলাইন স্টোর ও নবদম্পতিদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসেছে গহনার পাঁচটি জনপ্রিয় বিকল্প, যা বাঁচাবে অর্থ আর রাখবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া।

১. রুপার গহনা: ঐতিহ্য আর সাশ্রয়ের মেলবন্ধ

সোনার সঙ্গে লড়াই কেন, যখন রুপা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুগ্ধ করছে সবাইকে? বর্তমানে প্রতি তোলা রুপার দাম মাত্র প্রায় ৫ হাজার ২০০ রুপি, যা সোনার এক-দশমাংশ। মুঘল নকশার বা চাঁদ-তারা খোদাই করা রুপার ঝুমকা বা চুড়ি এখন বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে লাহোরের নববধূদের মধ্যে।

২. ল্যাব-গ্রোন হীরা বা কিউবিক জিরকন

খনি থেকে না এলেও এই হীরাগুলোয় জ্বলে একই আলো। ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার রুপিতে পাওয়া যায় এক সেট, যেখানে সোনার সমমানের গহনা লাগবে লাখ টাকার বেশি। কুন্দন স্টাইলের ল্যাব-গ্রোন হীরা এখন করাচি থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত ট্রেন্ডে।

৩. রত্নপাথরের সেট: রঙিন রাজকীয় ছোঁয়া

রুবি, এমেরাল্ড, স্যাফায়ার কিংবা ফিরোজা—মূল্যবান এই পাথরগুলোর সেট এখন নতুন ট্রেন্ড। ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার রুপির মধ্যে পাওয়া যায় দৃষ্টিনন্দন গহনা, যা বিয়ের লাল বা সবুজ পোশাকের সঙ্গে জমে অপূর্ব।

৪. রোজ গোল্ড

সোনালি আভা ছাড়তে না পারলে রোজ গোল্ড বা স্বর্ণাভ মিশ্র ধাতু হতে পারে সমাধান। ৮ হাজার ২০ হাজার রুপিতে পাওয়া যায় পুরো সেট, যা দূর থেকে একেবারে সোনার মতোই লাগে। হাই-পলিশ, নিকেল-মুক্ত অ্যালয় বেছে নিলে ত্বকও নিরাপদ থাকে।


৫. মুক্তার গহনা: সৌন্দর্য আর স্থায়িত্ব

মুক্তা এখন পাকিস্তানি কনেদের নতুন পছন্দ। ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রুপির মধ্যে পাওয়া যায় চমৎকার সেট, যা প্যাস্টেল বা হালকা রঙের পোশাকে এনে দেয় রাজকীয় ছোঁয়া। বিয়ের পরও সহজে পরা যায়।

আইকে/এসেএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইঞ্জিন বিকল, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ Nov 27, 2025
img
এবার স্থগিত হলো পাকিস্তানি ব্যান্ড জালের কনসার্ট Nov 27, 2025
img
ভারতীয় অ্যাম্বাসিতে পাসপোর্ট জমা না দিয়ে আমেরিকা চলে যান তানজিন তিশা Nov 27, 2025
img
সৎ ছেলে নাগাকে নিয়ে মুখ খুললেন অমলা Nov 27, 2025
img
অনিরাপদ বিদেশি প্রাণিজ সম্পদ আমদানির পক্ষে নয় সরকার : ফরিদা আখতার Nov 27, 2025
img
প্রথমবারের মতো মোশাররফ করিম স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান Nov 27, 2025
img
জামায়াতে যোগদান নিয়ে মুখ খুললেন পাইলট Nov 27, 2025
img
চিকিৎসকের নির্দেশ না মেনে অনুশীলনে অংশ নিলেন নেইমার Nov 27, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত Nov 27, 2025
img
পোলকা ডট-এর স্ট্র্যাপলেস গাউনে মালাইকার রেট্রো ঝলক Nov 27, 2025
img
এক ভুলেই থেমে গেল টাবুর বোন ফারাহ নাজের ক্যারিয়ার Nov 27, 2025
img
গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমান Nov 27, 2025
img
দীর্ঘ সফরের শেষে স্মৃতিভরা বিদায় ‘ফুলকি’ ধারাবাহিক টিমের Nov 27, 2025
img
৩০ দিনে ওমরাহ আদায় করেছেন ১ কোটি ৩৯ লাখেরও বেশি মুসলিমরা Nov 27, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৯ ডিসেম্বর Nov 27, 2025
img
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুরস্কার পেলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান Nov 27, 2025
img
বিশ্বের প্রথম এক ডোজের ডেঙ্গু টিকার অনুমোদন দিয়েছে ব্রাজিল Nov 27, 2025
img
এবার নাতাশার সঙ্গে পলাশের ভিডিও ভাইরাল , পুরনো ভিডিওতে ফের সমালোচনায় Nov 27, 2025
img
জুলাই বিপ্লবকে ‘তথাকথিত’ বলে বিচারের আদেশ পুনর্বিবেচনার দাবি ইনুর Nov 27, 2025
img
দক্ষিণের তারকা নাগার্জুনার ঘরে ধর্মীয় বৈচিত্র্যের নতুন গল্প Nov 27, 2025