চাঁদের পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স তাদের তৈরি বিশাল 'স্টারশিপ' রকেটের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করছিল। নানা জটিলতার কারণে দশ বার স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে।
স্পেসএক্সের তথ্যমতে, বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী এই রকেটটি অর্ধেক বিশ্ব প্রদক্ষিণ করার পর ভারত মহাসাগরে অবতরণ করেছে। এই অভিযানটি ২০৩০ সালের মধ্যে নাসার চন্দ্রাভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশাল রকেটটি সফলভাবে তার বুস্টারকে বিচ্ছিন্ন করে ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীতে প্রবেশে প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
ষাট মিনিটের বেশি স্থায়ী এই পরীক্ষামূলক অভিযানে স্টারশিপ আটটি নকল স্টারলিংক স্যাটেলাইট বহন করেছে। পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় স্টারশিপ রকেটের বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে। মহাকাশযানটি ভারত মহাসাগরে অবতরণ করে। এটি পরীক্ষামূলক হওয়ায় কোনো অংশই পুনরুদ্ধার করা হয়নি। ইলন মাস্ক স্টারশিপকে মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য ব্যবহার করতে চান।
অন্যদিকে, নাসাও ২০৩০ সালের মধ্যে নভোচারীদের নিয়ে চাঁদে অভিযানের জন্য ৪০৩ ফুট লম্বা এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্টারশিপ ব্যবহার করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি বলেন, 'চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের দিকে আরও একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এ পরীক্ষা।' স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় স্পেসএক্সের কর্মীরা বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এবং প্রথমবারের মতো লঞ্চ কন্ট্রোলের বাইরে থেকে স্টারশিপের উড্ডয়ন দেখেছেন ইলন মাস্ক।
টিজে/টিকে