শহীদ মিনারে এক সপ্তাহ ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, আজ কালো পতাকা মিছিল

দাবি আদায়ে টানা ৭ দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) দুপুরে কালো পতাকা মিছিল করবে তারা। শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের নেতারা জানিয়েছেন, ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শহীদ মিনার ছাড়বেন না।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, গত ১০ অক্টোবর রাত থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচি এখন অনশনে রূপ নিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের চার লাখ সদস্য আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর ভিপিসহ অসংখ্য মানুষ এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, ন্যায্য দাবি আদায় না করে শহীদ মিনার ত্যাগ করব না।

তিনি বলেন, গতকাল থেকেই আমরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেছি শিক্ষা উপদেষ্টার ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ ও বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন বিলম্বে ক্ষোভ জানিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

দেলাওয়ার আজিজী জানান, আজ দুপুর ১২টায় কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করা হবে, যেখানে শিক্ষক-কর্মচারীরা রাষ্ট্রের অবহেলার প্রতিবাদ জানাবেন।

তিনি বলেন, যারা আমাদের ন্যায্য অধিকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের বর্জনের সময় এসেছে। বিদ্যালয়ের ঘণ্টা বাজবে না, কোথাও ক্লাস হবে না৷ শহীদ মিনারই হবে আমাদের ঠিকানা।

এর আগে, এর আগে গত রোববার (১২ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর সোমবার থেকে সারা দেশে পাঠদান বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।

তবে এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর কথা জানানো হলেও শিক্ষকরা এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন।

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি আরও জোরদার করা হবে।



আইকে/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র Dec 03, 2025
img
বিশেষ মেধা সম্পন্নদের উপযুক্ত শিক্ষা নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ Dec 03, 2025
img
কেউ পাথর মারলে তাকে আমরা ফুল দিয়ে বরণ করব : হাসনাত Dec 03, 2025
img
আজ ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃহৎ বিক্ষোভ Dec 03, 2025
img
নতুন এক একশন সিনেমায় করণ জোহারের সঙ্গে তৃতীয়বারের মতো জুটি বাঁধতে চলেছেন কার্তিক আরিয়ান Dec 03, 2025
img
বৃহস্পতিবার বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট Dec 03, 2025
img
যত টাকাই পাই না কেন, তা কখনো যথেষ্ট নয় : মনোজ বাজপেয়ী Dec 03, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয় Dec 03, 2025
img
টিসিবির জন্য ২৫১ কোটি টাকায় কেনা হবে ১ কোটি ৫০ লাখ লিটার তেল Dec 03, 2025
img
গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, সাংবাদিক-শিশুসহ নিহত ৫ ফিলিস্তিনি Dec 03, 2025
img
প্রতিদিন ব্রেড-অমলেট খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যকর? Dec 03, 2025
img
গুজব থামাতে মুখ খুলল রবি তেজার টিম Dec 03, 2025
img
আজকের আবহাওয়া : মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ Dec 03, 2025
img
৩ ভাষায় এক বছরে রেকর্ড আয়ে ইতিহাস গড়লেন ধানুশ Dec 03, 2025
img
রিয়াল মাদ্রিদ, আর্সেনালের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের সকল খেলা Dec 03, 2025
img
রাজামৌলি-মহেশ বাবুর ছবিকে নিয়ে রেকর্ড ভাঙার জল্পনা Dec 03, 2025
img
শীতে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা Dec 03, 2025
img
৪ বছর পর ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট Dec 03, 2025
img
১৬ বছর পর ভিজায় হাজারে ট্রফিতে ফিরছেন কোহলি! Dec 03, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না : বরকত উল্লাহ বুলু Dec 03, 2025