জাবিতে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও নদীর পানির হিস্যা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটক সংলগ্ন (ডেইরি গেট) ঢাকা-অরিচা মহাসড়কের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরবঙ্গ শিক্ষার্থীবৃন্দের আয়োজনে করা মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জিএমএম রায়হান কবির। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপচার্য (প্রশাসন) সোহেল আহমেদ ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন মাফরুহী সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু), ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও অন্যান্য ক্রিয়াশীল সংগঠন সংসহতি জানিয়ে অবস্থান করেন।

মানববন্ধনে কুড়িগ্রামের বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাফিউজ্জামান শাহীন বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবনমান নির্ভর করছে এটি তিস্তা নদীর ওপর। বর্ষাকালে যেমন বন্যা হয়ে সব ছারখার হয়ে যায়। তেমনি শীতকালে হাহাকার দেখা যায়। শুধুমাত্র নদীর পানির নায্য হিসাব নিশ্চিত করতে না পারায় উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন মানের এ দুর্দশা। অতি দ্রুত ইনটেরিম সরকারের প্রতি তিস্তা নদীতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, যেই নদীতে বর্ষাকালে প্রতি সেকেন্ডে দুই লাখ বর্গফুট পানি প্রভাবিত হয়, যেখানে শীতকালে এক হাজারে নেমে আসে। শুষ্ক মৌসুমী যা উত্তরবঙ্গে মানুষের জন্য অভিশাপের মত। সরকারের পর সরকার পরিবর্তন হলেও উত্তরবঙ্গের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারও নানা কূটনৈতিক চাপের ফলে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে পাশের দেশ ভারতের স্বার্থ ও সুবিধার কথা না ভেবে দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।

জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করতে পারেনি। ফলে রংপুর অঞ্চলের মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন করছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেত যে কোনো মূল্যে তিস্তা মহা পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক কমাতে কাজ শুরু করেছে সরকার Dec 03, 2025
img
সেটে দেরিতে আসা কোনো অহংকার নয়,এটি তার স্টারডমের প্রকাশ: শত্রুঘ্ন সিনহা Dec 03, 2025
img
চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার আইনজীবী প্রদীপ চৌধুরীর মুক্তি দাবি Dec 03, 2025
img
সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Dec 03, 2025
img
জনপ্রিয় তারকাদের তালিকায় শীর্ষে নতুন দুই মুখ আহান পান্ডে ও অনীত পাড্ডা Dec 03, 2025
img
২৮ ডিসেম্বর খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় Dec 03, 2025
img
জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া মির্জা আব্বাসের Dec 03, 2025
img
বিচ্ছেদের পথে অঙ্কিতা-প্রান্তিক Dec 03, 2025
img
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের যুক্ত করতে পে-প্যাল সাথে যোগাযোগ চলছে: গভর্নর Dec 03, 2025
img
সশরীরেই ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের Dec 03, 2025
img
রংপুরে চলছে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ Dec 03, 2025
img
ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, নিউমার্কেটসহ আশপাশে তীব্র যানজট Dec 03, 2025
img
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা Dec 03, 2025
img
টানা ২০টি ওয়ানডেতে টস হারের বিশ্বরেকর্ড গড়লো ভারত Dec 03, 2025
img
প্রবাসীরা দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি থাকলে করতে হবে মোবাইল রেজিস্ট্রেশন Dec 03, 2025
img
রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধের ঘোষণা ইউরোপের Dec 03, 2025
img
২ কোটি টাকার হীরার আংটি পরে সামান্থার বিয়ে Dec 03, 2025
img
দিল্লির দূষিত বাতাসে শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত ২ লাখ মানুষ Dec 03, 2025
img
ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান Dec 03, 2025
img
সিইসির সঙ্গে এনসিপির বৈঠক বিকেলে Dec 03, 2025