চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ বলেছেন, ‘রাজনীতিতে এখন যে জটিলতা আসছে একটা হলো পিআর, একটা হলো গণভোটের তারিখ। একেবারে অপ্রয়োজনীয় দুইটা ইস্যুকে সামনে এনে মাঠ গরম করা হচ্ছে। পিআর বাংলাদেশে যদি কেউ মনে করেন এটা খুব ভালো সিস্টেম, প্রচার চালান এবং ভবিষ্যতে করার জন্য এগিয়ে যান। এই অল্প সময়ের মধ্যে এখনই পিআর-এর জন্য এই দেশ প্রস্তুত না।বাংলাদেশের মতো আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের দেশে পিআরের কোনো সাকসেসফুল স্টোরি নাই।’ সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যেসব জিনিসগুলোকে রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে দূর হবে আশা করে পিআরটাকে চাচ্ছেন, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালে পিআর ব্যবস্থা ওই বিষয়গুলোকে দূর করতে পারেনি। তাহলে ’৭৮ সনে পাস হয়ে ’৭৯-এর নির্বাচন থেকে পিআর সিস্টেম হওয়ার পরও শ্রীলঙ্কায় এইরকম গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পড়তে হতো না।
সব পালিয়ে যেতে হতো না। নেপালে পিআর হয়ে দেশটারও অস্থিতিশীল হয়েছিল। সরকারের স্থায়িত্ব থাকতো না। ১৭ বছরে ১৩ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হলে কিভাবে ওই সরকারের প্রতি আস্থা আসে? তাদের সাস্টেইনেবল বিভিন্ন বিষয় যে করবে, কিভাবে করে? সুতরাং সেখানেও এটার কোনো সাকসেস স্টোরি নেই।
’
তিনি বলেন, ‘যদি মনে করেন যে পিআর অনেক দেশে আছে- ইউরোপিয়ান কান্ট্রিগুলোতে, ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে সাকসেস স্টোরি আছে। তাহলে আগে এই জাতিকে তাদের ধারে কাছে গঠন করেন, মানুষকে বুঝান।’
সাখাওয়াত আরো বলেন, ‘গণভোট নিয়ে নানান রকমের দ্বিমত থাকলেও শেষ পর্যন্ত গণভোট যে দরকার এই ব্যাপারে সবাই একমত হলেন। এখন সেই গণভোটটা মূল নির্বাচনের সঙ্গে হবে নাকি আগে করতে হবে দুইটারই কিছু অ্যাডভান্টেজ-ডিসঅ্যাডভান্টেজ আছে। দেখতে হবে কোন জায়গায় গেলে বেশি বৈরিতার মুখে পড়ছেন, বেশি সমস্যা হচ্ছে।
নভেম্বরে আলাদা করে ওরকম একটা ইলেকশন দেবেন সেটার খরচ বিশাল ব্যাপার। সেটা করতে গিয়ে ওইখানে এমন কোনো গোলযোগ বা সিচুয়েশন যদি কোনো তৃতীয় পক্ষ ঘটিয়ে দেয় তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটা অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।’
টিজে/টিকে