হিজাব পরিধান ও শরীর ঢেকে রাখা কাপড় পরার কঠোর বিধান রয়েছে ইরানে। ২০২২ সালে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীকে হিজাব না পরায় ধরে নিয়ে যায় দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। বন্দি অবস্থায় তার মৃত্যু হলে ইরানে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। যা কঠোরভাবে দমন করা হয়।
এরমধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অন্যতম সহযোগী ও উপদেষ্টা আলী সামখানির মেয়ের বিয়ে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। এতে দেখা গেছে, তার মেয়ে খোলামেলা বিয়ের পোশাক পরে আছেন। মেয়েকে হাত ধরে স্বামীর কাছে নিয়ে যাচ্ছেন সামখানি।
জানা গেছে, ভিডিওটি ২০২৪ সালের। তবে এটি নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। গত বছর রাজধানী তেহরানের বিলাসবহুল এসপিনাস হোটেলে বিয়েটি হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, সামখানির মেয়ের কাঁধ দেখা যাচ্ছে এবং তার মাথাও ঠিক মতো ঢাকা নয়। সামখানি ইরানের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এছাড়া আলী খামেনির বিশ্বস্ত হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। ইরানে কঠোর ইসলামিক আইন-কানুন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তার অবদান রয়েছে। ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আন্দোলনের সময় ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের নেতৃত্বে ছিলেন সামখানি। ওই সময় অনেক নারী তার হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
তবে এই আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করা হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার মানুষকে।
এরমধ্যে যারা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিচারের মাধ্যমে তাদের অনেককে এখনো ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে।
ইউটি/টিএ