বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের জন্য টেকনিক্যাল ক্যাডার অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিভাগীয় ভবনে তালা ঝুলিয়ে এই শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এর আগে, দুপুর ১টার দিকে তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা 'সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানবো না', 'এক দুই তিন চার- ডিপার্টমেন্টে তালা মার', 'বৈষম্য নিপাত যাক- সিন্ডিকেট মুক্তি পাক', 'সাইকোলজির আধিপত্য ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'ক্লিনিক্যালের বাংলায় সাইকোলজির ঠাঁই নাই', 'ডিপার্টমেন্টে রাজনীতি চলবে না চলবে না' ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জান্নাত জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগগুলোর মতো আমাদের বিভাগেও অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেই নিয়োগের জন্য আবেদন করা যেত। ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়মই ছিল। কিন্তু বিভাগীয় প্রধান হিসেবে মনোবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক দায়িত্ব নেওয়ার পর, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পরিবর্তন করে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা অনার্সে ৩ মাস এবং মাস্টার্সে ৬ মাস ইন্টার্নশিপ করি, যেখানে মনোবিজ্ঞানের অনেক শিক্ষার্থীই অ-বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসে।
একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুমন আলী বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য এখানে অবস্থান নিয়েছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিভাগ চালু করতে দেবো না। ২০২৫ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা দেখেছি, ২০২৩ সালের নিয়োগের অর্ডিন্যান্স পরিবর্তন করে শুধু মনোবিজ্ঞান বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ সাম্প্রতিক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি থেকে কাউকেই নেয়া হয়নি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আমাদের বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসার পরই এই পরিবর্তনটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। যদি এর মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। এ সময় বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এসএস/এসএন