পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পানি নিরাপত্তা ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত পানিবিষয়ক মন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের পঞ্চম অধিবেশন তিনি বলেন, পানি কেবল একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, এটি জীবন, উন্নয়ন ও শান্তির ভিত্তি। বৈশ্বিক পানি সংকট মোকাবিলায় ওআইসি দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই টেকসই পানি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব। রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে, আর মিঠাপানির উৎস দূষিত হচ্ছে—যা দ্রুতই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে যৌথ গবেষণা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।
সম্মেলনের সাইডলাইনে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সৌদি আরবের পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আবদুলরহমান বিন আবদুলমোহসেন আলফাদলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে নিরাপদ পানীয় জলের জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ (রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং) এবং জলবায়ু সহনশীল পানি সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তুলতে সৌদি আরবের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। পানি শাসন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা গেলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন আরও দ্রুত হবে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার ড. মো. খায়রুল ইসলাম। ওআইসি আয়োজিত এই সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা পানি নিরাপত্তা, সীমান্তবর্তী পানি ব্যবস্থাপনা ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
ইউটি/টিএ