বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের আভাস

ঘরের মাঠে সিরিজ হার ঠেকানোর পরীক্ষা মেহেদি হাসান মিরাজদের দলের সামনে। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে চিন্তার কারণ অধিনায়ক নিজেই। মাঠে পারফরম্যান্স নেই, ড্রেসিং রুমেও নিয়ন্ত্রণ হারানোর গুঞ্জন মিরাজকে নিয়ে। তৃতীয় ম্যাচে পরিবর্তন আসতে পারে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপে।

 বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দুপুর দেড়টায় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে।



দেশের হয়ে সবচেয়ে বাজে ক্যাপ্টেন্সির রেকর্ডের পথে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছেন মিরাজ। খালেদ মাসুদ পাইলট পরবর্তী সময়ে অধিনায়ক হিসেবে জয়ের হারে মিরাজের নিচে নেই আর কেউই।

 মাঠে অধিনায়কের একের পর এক শিশুতোষ ভুলে ভুগছে বাংলাদেশ। গুঞ্জন আছে, ড্রেসিং রুমেও নেতৃত্ব হারিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। নিজের পারফরম্যান্স, সব মিলিয়ে আরো কোনঠাসা টাইগার দলপতি।

উইন্ডিজ সিরিজ জয়ে দুঃসময় একটু হলেও কমবে মিরাজের। তবে কাজটা কঠিন। ভয়ংকরর স্পিনবান্ধব পিচেও জিততে পারছে না টিম টাইগার। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে হেরে ১৯ মাসের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়েছে আরো। পছন্দের ফরম্যাটে একটা সিরিজ জয়ের আক্ষেপ মেটাতে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই টাইগারদের। দুই ম্যাচের মাঝে একদিন বিশ্রামে কাটিয়েছে দল। টি-টোয়েন্টির ক্রিকেটাররা করেছেন ব্যক্তিগত অনুশীলন। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে একাদশে আসতে পারে পরিবর্তন।

 ব্যাটিং ইউনিটে শক্তি বাড়াতে তানজিদ তামিমকে ফেরানো হতে পারে একাদশে। মিডল অর্ডারে অপশন হিসেবে আছেন জাকের আর শামীম। যদিও ব্যাট হাতে ধারাবাহিক নন কেউ। ওপেনিংয়ে সাইফকে বসালে ষষ্ঠ বোলিং অপশনের ভাবনাটাও থাকবে অধিনায়কের।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো ক্যারিবীয়ানদের মূল শক্তি আকিল হোসেন। টপ অর্ডারে বদল আনতে একমাত্র বিকল্প আমির জাংগু। তবে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার সম্ভাবনা কম সফররতদের। বরং মিরপুরের ঐ মন্থর উইকেটে শেষ ম্যাচেও কৌশলটা একই রাখতে চাইবেন শেই হোপের দল।

 প্রথম দুই ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও উইকেট হবে ধীরগতির। স্পিনাররা দাপট দেখাবে, তবে টাইগারদের চিন্তার কারণ মিরাজ আর তানভীর। টার্নিং উইকেটেও দুজনের অধারাবাহিকতা ভোগাচ্ছে দলকে। পরিচিত হোম অব ক্রিকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জটা এ দুজনেরও।

গত বছরের মার্চের পরে কোন ওয়ানডে সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। অপেক্ষা বাড়ছে, কঠিন হচ্ছে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার রাস্তাটাও।

আরাপি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
অর্থের পেছনে না ছুটে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির Oct 23, 2025
img
‘মাই ম্যান’ এর পলিটিক্স করবে না এনসিপি: সারজিস Oct 23, 2025
img
আইজিপির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Oct 23, 2025
img
জোটের প্রার্থী হলেও লড়তে হবে নিজ দলের প্রতীকে Oct 23, 2025
img
ব্যাটিং বিপর্যয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ Oct 23, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, সেটি ঠেকানোর মতো শক্তি পৃথিবীতে নেই: অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার Oct 23, 2025
img
সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহারের চিন্তা সরকারের Oct 23, 2025
img
উত্থান-পতনের মধ্যেও আশাবাদী শিল্পা শেট্টি! Oct 23, 2025
img
উটে চড়তে থাকুন, সৌদি নেতাদের কটাক্ষ করে বললেন বাজায়েল স্মোরিচ Oct 23, 2025
img
শেখ হাসিনার উসকানিতে পা দেয়নি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী : চিফ প্রসিকিউটর Oct 23, 2025
img
৩১ শতাংশ গুমের শিকার শিবিরের কর্মী : সাদ্দাম Oct 23, 2025
img
নেশা পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তামাকবিরোধী জোটের Oct 23, 2025
img
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা, ফিরলেন লিটন Oct 23, 2025
img
রাশিয়ায় কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০ Oct 23, 2025
img
দেশ গড়তে শুধু নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে : মাসুদ সাঈদী Oct 23, 2025
img
ঢাকা ওয়াসার ওয়াটার এটিএম বুথের সার্বিক কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন Oct 23, 2025
img
বাংলাদেশ থেকে কাঁঠাল-পেয়ারা আমদানিতে আগ্রহী চীন Oct 23, 2025
img
গণতন্ত্রে ফেরার যাত্রায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য শুভ কামনা: জার্মান রাষ্ট্রদূত Oct 23, 2025
img
‘দলীয় উপদেষ্টা’ বিতর্কে আসিফ মাহমুদের নাম তুলে ধরলেন মাসুদ কামাল Oct 23, 2025
img
একক প্রার্থী মানেই জয় নয়-আসছে বাধ্যতামূলক ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা Oct 23, 2025