বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ‘সবকিছু পেছনে ফেলে’ শিরোনামে একটি ছবিতে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১২ বছর আগে কক্সবাজারে সেই ছবির শুটিং হয়। টানা ১০ দিন সাকিবের শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু শুটিংয়ের মাঝপথে সাকিব আল হাসান বেঁকে বসেন।
পরিচালককে জানান, তিনি শুটিং করবেন না। এরপর আর কোনোভাবেই সাকিবকে রাজি করানো সম্ভব হয়নি। ছবির কাজটিও সেখানেই থেমে যায়- এমনটিই জানিয়েছিলেন নির্মাতা রাজিবুল হোসেন।
এ খবর প্রকাশের পর সামাজিক মাধ্যমের একটি অংশ বলছিলেন, আসলে সাকিব আল হাসান চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হননি, তিনি করেছিলেন বিজ্ঞাপনের শুটিং।
পাওয়া যায় পক্ষে বিপক্ষের নানা প্রতিক্রিয়া।
এই ছবিতে যারা অভিনয় করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন মেঘলা মুক্তা। মেঘলা মুক্তা বলেন, ‘আমি বুঝলাম না এতোদিন পরে কেন এই প্রসঙ্গে কথা উঠলো, তখন তো কথা ওঠেনি। আর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পরিচালকের বিজ্ঞাপনের চুক্তি নাকি সিনেমার চুক্তি হয়েছিল তা আমার জানা নেই।
তবে সাকিব আল হাসান আমাদের সঙ্গে শুটিং করেছিলেন।
মেঘলা মুক্তারা চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন জেনেই কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, আমরা তো জানি চলচ্চিত্রে কাজ করছি। এই চলচ্চিত্রের জন্য সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সাকিব আল হাসান আমাদের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন।
আমরা কক্সবাজারে একটা গানের শুটিংও করেছি। পরে কী কারণে ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে গেল আমরা জানি না।’
নির্মাতা রাজিবুল হোসেন এই ছবি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল। সাকিব আল হাসান শুটিং করেছেন, ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেছেন, ক্ল্যাপস্টিক ও প্রফেশনাল রেকর্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে আমরা দৃশ্য ধারণ সম্পন্ন করি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি সিনেমায় অভিনয় করার বিষয়টি অস্বীকার করলে পুরো প্রজেক্ট অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।
শুধু সাকিবের মিথ্যাচার নির্মাতা হিসেবে আমাকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে, তেমনি এটা ছিল একটি শিল্পভিত্তিক কাজের প্রতি তাঁর অসম্মান। আমি চাইলে তাঁকে ছাড়া সিনেমাটি শেষ করতে পারতাম, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, একটি অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা নির্মাণ করা যায় না।’
আরাপি/এসএন