চট্টগ্রামে কেটেছে দর্শক খরা। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে উপস্থিত হয় ১৮ হাজার দর্শক। টিকিট বিক্রি থেকে বোর্ডের আয় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহসান ইকবাল।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগে ক্রিকেটের উন্নতিতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন এই পরিচালক। পার্বত্য অঞ্চক, বিশেষ কোরে বান্দরবান-খাগড়াছড়িতেও ক্রিকেটের প্রসার বাড়াতে চান তিনি। দ্রুতই চট্টগ্রামে পুনরায় লিগ চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামে এসে যেন ফিরে পেলো ক্রিকেট। যেখানে মিরপুরের গ্যালারি ছিল প্রায় শূন্য, সেখানে সাগরিকার চিত্রটা একেবারের ভিন্ন। কানায় কানায় পূর্ণ পুরো স্টেডিয়াম। মাঠের খেলায় ফলাফল যেমনই হোক, টিকিট বিক্রিতে পোয়াবারো বিসিবির। প্রায় দেড় বছর পর বন্দর নগরীতে টাইগারদের টি-২০ ম্যাচ। সঙ্গে ছিল টানা চার সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি। স্বাভাবিকভাবেই দর্শক আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে গ্যালারিতে।
শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়, চট্টলার ঘরোয়া লিগেও দেখা যেত গ্যালারি ভর্তি দর্শক। মানের বিচারে ঢাকা লিগের পরই ছিল এই লিগের স্থান। একটা সময় এখানে খেলেছেন অনেক তারকা ক্রিকেটার। তবে, সেই চট্টলায় এখন নেই লিগের ধারাবাহিকতা। সবশেষ বছরে হয়নি কোনো খেলা। মাঠে খেলা ফেরাতে কাজ করছেন বিসিবির নব নির্বাচিত পরিচালক।
তবে, শুধু চট্টগ্রাম শহরে নয়, বিভাগের সবকটি জেলাতেই ক্রিকেটটা ছড়িয়ে দিতে চান এই পরিচালক। নজরটা বেশি পার্বত্য অঞ্চলে। যেখান থেকে উঠে এসেছে প্রতিভাবান ফুটবলাররা, যার সুফল পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। ঋতুপর্ণা, রুপনা কিংবা মনিকাদের বেড়ে ওঠা সেখান থেকেই। এবার পার্বত্য অঞ্চল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার কাজ শুরু করতে চায় বিসিবি।
আহসান ইকবাল চট্টগ্রামের বয়স ভিত্তিক খেলাতেও আনতে চান ভিন্নতা। জেলা পর্যায়ে হবে ২ দিনের লঙ্গার ভার্সন ফরম্যাট। যাতে ক্রিকেটাররা আগে থেকেই শেখে ধৈর্যের পরীক্ষা।
এসএস/টিএ