বসনিয়ার সার্ব জাতীয়তাবাদী নেতা মিলোরাদ দোদিক, তার সহযোগী ও পরিবারের সদস্যদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন অর্থ বিভাগ দোদিকের পাশাপাশি তার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানির ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কার্যালয় (ওএফএসি) এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, কেন দোদিকের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও তাদের কোম্পানিসহ ডজনখানেক ব্যক্তির ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি ওএফএসি। তবে সার্ব কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন ধরনের সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে গোপনে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দোদিক বসনিয়ার স্বায়ত্তশাসিত সার্ব প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট। গত আগস্ট মাসে আদালতের এক রায়ে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন বসনিয়ার এই সার্ব জাতীয়তাবাদী নেতা।
বসনিয়ার ১৯৯০-এর দশকের জাতিগত যুদ্ধের অবসান ঘটানো ও দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য স্বাক্ষরিত ডেটন শান্তিচুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
রুশ-ঘনিষ্ঠ এই জাতীয়তাবাদী নেতা সার্ব প্রজাতন্ত্রকে বসনিয়া থেকে আলাদা করার পক্ষে ছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
তবে গত ১৮ অক্টোবর বসনীয় সার্ব পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেয়। এর মধ্য দিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর দোদিককে কার্যত সরে যেতে হয়। তার ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী ওই দায়িত্বে থাকবেন আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ওই দিন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
একই সঙ্গে সংসদ দোদিকের সময়ে গৃহীত বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী আইনও বাতিল করেছে। বসনিয়ার আন্তর্জাতিক শান্তি দূত ও সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগে দোদিকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এসব পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় চলমান সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টারই ফল এটি।
সূত্র: রয়টার্স।
এমআর