উপদেষ্টারা দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, মান্নার অভিযোগ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পথরেখা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় মান্না বলেন, ‘দেশের মানুষের লড়াই একদলকে বদলে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া নয়। বরং এই লড়াই সমাজকে বদলে দেয়ার।’

দুমাস পর নির্বাচন হয়ে গেলে সরকারের উপদেষ্টাদের পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বেলন, ‘এখন মাথা ঠান্ডা রেখে বুদ্ধির সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সরকারের উপদেষ্টারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল হলেও রাজনৈতিক দিক থেকে আনাড়ি। তারা দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে সবাইকে নিয়ে সই করা গেলে সেটা কাঙ্ক্ষিত হতো। সনদের ৮৪টি প্রস্তাব রয়েছে। অনেকে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। এই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে যাওয়ার কথা।’

একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট সবচেয়ে বেশি। যতখানি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি সেগুলো নিয়ে যাতে আবার অনৈক্য না দেখা দেয়। গণভোটে নোট অব ডিসেন্টের মীমাংসা হয়ে যাবে ব্যাপারটা এমনও নয়।’

পরিস্থিতি জটিল করে নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী।

অনুষ্ঠানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সাইফুল হক বলেন, ‘এই নিবার্চন গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিতে পারবে কি না সে বিষয়ে ভেবে চিন্তে এগুতে হবে।’

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ এখনও চূড়ান্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার বিশেষ কোনো দলের প্রতি ঝুঁকে গেলে শুধু দেশের মানুষই নয় বরং সরকার নিজেও বিপদে পড়বে। সরকার ভিন্ন পথে হাটার চেষ্টা করলে সংকট বাড়বে।’

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মেসির আগমনে বিশৃঙ্খলার জেরে পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদত্যাগ Dec 16, 2025
img
তৌহিদী জনতার নামে উড়োচিঠি দেশবিরোধীদের চক্রান্ত : ইসলামী আন্দোলন Dec 16, 2025
img
একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : টুকু Dec 16, 2025
img
১৬ ডিসেম্বরের প্রত্যয় থেকেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : আসিফ নজরুল Dec 16, 2025
img

সাভারে মির্জা আব্বাস

স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনো দেশের শান্তি কামনা করেনি Dec 16, 2025
img
২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে বিক্রি হলেন ক্যামেরন গ্রিন Dec 16, 2025
img
বিজয় দিবস উদযাপনে গোল্ডেন টিউলিপ দ্য গ্র্যান্ডমার্ক-ঢাকায় ক্ষুদে শিল্পীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা Dec 16, 2025
img
একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ : নাহিদ ইসলাম Dec 16, 2025
img
রাজধানীতে এনসিপির আগ্রাসন বিরোধী যাত্রা শুরু Dec 16, 2025
img
ফের আলোচনায় বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি Dec 16, 2025
img
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সামনে এলো রহস্যজনক তথ্য Dec 16, 2025
img
পর্তুগালে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গাইবেন 'জলের গানের' রাহুল আনন্দ Dec 16, 2025
img
সরকারি ৪ অধিদপ্তরে নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ Dec 16, 2025
img

সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে চলছে উন্নত চিকিৎসা

হাদির অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন, চিকিৎসকদের নজর ‘টাইম উইন্ডোতে’ Dec 16, 2025
img
স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় : মির্জা ফখরুল Dec 16, 2025
আপনার সময় কি খারাপ যাচ্ছে? Dec 16, 2025
img
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Dec 16, 2025
img
যিশু-সৌরভ প্রযোজিত প্রথম সিনেমায় বড় চমক! Dec 16, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আ.লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার Dec 16, 2025
img
৪০ মিনিট বিরতির পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক Dec 16, 2025