তৌহিদী জনতার নাম ব্যবহার করে দেশের বেশকিছু মিশনারি প্রতিষ্ঠানে হুমকি সম্বলিত উড়োচিঠি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই চিঠি ও হুমকি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নতুন আরেকটি চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তারা।
বিবৃতিতে লেখেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যখন দেশের সব ধর্ম ও পন্থার মানুষ একত্রিত হয়ে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে তখন এই ধরনের হুমকি সম্বলিত চিঠি বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা দেয়ার অপপ্রয়াস। এই চিঠি যারা দিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দাবি জানাচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, বাংলাদেশে নানা ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস করে। পারস্পরিক সহযোগিতা মাধ্যমে দারিদ্রতা ও নিরক্ষতার দূরীকরণে সমাজে কাজ করে যাচ্ছে।
এই ক্ষেত্রে মিশনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। দীর্ঘ ইতিহাসে এই মিশনারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমাজের বোধ-বিশ্বাস নিয়ে বড় ধরনের কোনো সংঘাত তৈরি হয় নাই। এমন বাস্তবতায় উড়োচিঠির ভাষ্য ও বক্তব্য সম্পূর্ণ অমূলক। এই চিঠির ভাষ্য ও বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, এটা একটা চক্রান্তমূলক কর্মকাণ্ড।
বাংলাদেশের মূলধারার ইসলামপন্থি রাজনৈতিক শক্তি, সমাজের মূলধারার আলেম-উলামা ও মসজিদ-মাদ্রাসা কখনোই এই ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না ও এই ধরনের চিন্তাধারা লালন করে না। সেজন্য এই উড়োচিঠি দেশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা হিসেবেই মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের সব ধর্মের মানুষকে এবং মিশনারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আশ্বস্ত করছে যে, দেশের সাধারণ মানুষ আপনাদের পাশে আছে। কেউ কোনো ধরনের অপচেষ্টা চালালে সবাই মিলে সেই অপশক্তিকে প্রতিহত করা হবে ইনশাল্লাহ।
তারা আরও লেখেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো, দ্রুত বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত করে এই ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনুন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
আইকে/টিএ