গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন জুলাই যোদ্ধার

২০২৪ সালে জুলাইয়ের আন্দোলনের চেতনায় দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত দেশ গড়তে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার প্রতিবাদে ফরিদপুরে গেজেট (গেজেট নম্বর-২৪৮৯) থেকে স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন জুলাই যোদ্ধা আবরাব নাদিম (২৭)।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জুলাইয়ের সরকারি গেজেট এবং মাসিক ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসকের বরাবর দেওয়া লিখিত আবেদনে জুলাই যোদ্ধা আবরার নাদিম বলেন, জুলাইয়ের যৌক্তিক আন্দোলনে আহত হয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং স্থানীয় সরকারগুলো জুলাইয়ের যে চেতনা- দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্য- তা কোনোভাবেই এক বছরের অধিক সময়েও বাস্তবায়ন করতে পারেনি এবং কার্যকর পদক্ষেপও নেয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন অসংগতিমূলক কর্মকাণ্ডও লক্ষণীয়।

লিখিত আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিশেষ করে ফরিদপুরে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও অন্যান্য সেক্টরে আগের মতোই অনিয়ম বহাল রয়েছে। কোনো সিন্ডিকেট ভাঙেনি, অনিয়মও থেমে নেই- যা আপনারা সবাই অবগত আছেন। তাই আমি আমার নাম সরকারি গেজেট থেকে প্রত্যাহার করছি এবং মাসিক ভাতা (যদিও আমি তা গ্রহণ করিনি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করছি।

এ বিষয়ে আবরার নাদিম বলেন,আমরা যে উদ্দেশ্যে আন্দোলন করেছিলাম তার কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। চারদিকে শুধু নিজেদের বন্দোবস্ত চলছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং স্থানীয় সরকারগুলো জুলাইয়ের যে চেতনায় দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমি সরকারি গেজেট ও সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।

আবেদনপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন বলেন,স্বেচ্ছায় জুলাইয়ের সরকারি গেজেট এবং সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদনটি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

টিজে/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আগামী এপ্রিলে চীন যাব, এরপর শি যুক্তরাষ্ট্রে আসবেন: ট্রাম্প Oct 30, 2025
img
ইউনেস্কোর সভাপতির দায়িত্ব পালন শুরু করল বাংলাদেশ Oct 30, 2025
img
তোমার স্বামী খুব কঠোর, কেভিন পিটারসেনের স্ত্রীকে বললেন লোকেশ রাহুল Oct 30, 2025
img
‘শাপলা কলি’ নয়, ‘শাপলা’ই চায় এনসিপি Oct 30, 2025
img
১৬ নভেম্বর পোস্টাল ব্যালটে ভোটের অ্যাপ উদ্বোধন : ইসি সচিব Oct 30, 2025
img

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা

বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময় Oct 30, 2025
img
সন্তানকে মত প্রকাশের সুযোগ দিন : হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 30, 2025
img
মোজাম্মেল হকের আয়কর নথি জব্দের অনুমতি পেয়েছে দুদক। Oct 30, 2025
img
ডাকসু নেতাদের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 30, 2025
img
ঐক্য কমিশনের প্রতিবেদনে অনৈক্যের সুর : শামা ওবায়েদ Oct 30, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের বেড়েছে সোনার দাম Oct 30, 2025
img
কাবুলের সার্বভৌমত্ব-অখণ্ডতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত Oct 30, 2025
img
ফুটবলার নিবন্ধনে ফিফার নিষেধাজ্ঞা পেল মোহামেডান Oct 30, 2025
img
যারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না, তারা জনগণের বিরোধী শক্তি : এম এ মালিক Oct 30, 2025
img

নারী বিশ্বকাপ ২০২৫

ভারতের সাবেক ও বর্তমান অধিনায়কের রেকর্ড ভাঙলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার Oct 30, 2025
img
চসিক সিইও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, ১৫ দিনের আলটিমেটাম Oct 30, 2025
img
যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়, তারা গণভোট চায় না : মাসুদ Oct 30, 2025
img
সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে হবে : এ্যানি Oct 30, 2025
img
ঐকমত্যে ব‍্যর্থ হলে ভয়ানক পরিস্থিতির ঝুঁকি দেখছে এবি পার্টি Oct 30, 2025
img
সচিবালয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার Oct 30, 2025