আনারস-দুধ নিয়ে ভুল ধারণা মুছে ফেলুন

আনারস একটি ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল। এছাড়া ফলটি অনেক গুণেও গুণান্বিত। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। আর দুধকে আমরা সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করি।

অনেকেই বিশ্বাস করেন, আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে অথবা একটার পর আরেকটা খেলে মানুষ বিষক্রিয়া হয়ে মারা যায়। আসলে এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভুল। এগুলো এক ধরনের খাদ্য কুসংস্কার বা ফুড ট্যাবু, এই কথার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নাই।

চলুন সত্যকে জানি এবং ভুল ধারণা মুছে ফেলি-

আনারস টকজাতীয় ও এসিডিক ফল, তাই দুধের মধ্যে এই টক ফলটি দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে খুব বেশি হলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ, এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।



তাছাড়া আমাদের পাকস্থলী এসিডিক। তাই পেটে যাওয়ার পর দুধ ফাটবেই, সেটা আনারসের সঙ্গে না খেলেও। যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, খালি পেটে আনারস খেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

এবার চলুন জেনে নিই, আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে-

  • আনারস এসিডিক ফল। কোনো গ্যাস্ট্রিকের রোগীর খালি পেটে আনারসের সঙ্গে দুধ খাওয়ার ফলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।
  • যাদের ল্যাকটোস ইনটলারেন্স আছে বা দুধ খেয়ে হজম করতে পারেন না। তারা যদি দুধ খান তাহলে এমনি হজমে সমস্যা হবে, সেই সঙ্গে যদি ঘটনাবশত দুধের সঙ্গে আনারস খেয়ে ফেলেন তাহলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ হতে পারে।
  • কম পাকা অথবা কাচা আনারস অনেকটা তিক্ত স্বাদের। এটি বমি উৎপাদনকারী এবং কিছুটা বিষাক্ত। কেউ কাঁচা আনারসের সঙ্গে দুধ খেয়ে ফেললে পেট খারাপ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আনারস আর দুধ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাওয়াই ভালো। নয়তো অনেক সময় পেটে গিয়ে হজমের সমস্যা হতে পারে। আমাদের অনেকেই আছেন, যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং ল্যাকটোস ইনটলারেন্স আছে, ফলে আনারস আর দুধ এক সঙ্গে বা পরপর খেলে পেট ফাঁপা, পাতলা পায়খানা, বদ হজম, এসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: