বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা এসএ গেমসের জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ২০২৬ সালের ২৩-৩১ জানুয়ারি এসএ গেমসের দিনক্ষণ হয়েছিল। এতে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা পদকের আশায় ছিলেন। অনেক ফেডারেশন প্রস্তুতিও শুরু করেছিল। কিন্তু স্বাগতিক পাকিস্তান থেকে গেমস নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না পাওয়ায় গেমস নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তাই বাধ্য হয়ে কাবাডি ফেডারেশন ক্যাম্প স্থগিত করেছে।
কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নারী দলের ক্যাম্প চলছে, কারণ সামনে নারী বিশ্বকাপ কিন্তু পুরুষ দলের ক্যাম্প আমরা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি।’ কাবাডি ফেডারেশন পুরুষ দলের ক্যাম্প বন্ধ করলেও অনেক ফেডারেশন এখনো দ্বিধাহীন। গেমস আয়োজনের কোনো অগ্রগতি নেই।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেফাউল কবীর এসএ গেমস নিয়ে বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানতে পারিনি। বাহরাইনে যুব এশিয়ান গেমসে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছিল। সেই মোতাবেক নভেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান গেমস নিয়ে তাদের অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে। ডিসেম্বরে একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে ব্যক্ত করবে কখন, কোন সময় গেমস হবে।’
আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা না থাকলেও মহাপরিচালকের তথ্যে অনেকটাই স্পষ্ট ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে এসএ গেমস পাকিস্তান আয়োজন করতে পারছে না। একটি গেমসের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয় অন্তত মাস চারেক আগে। সেখানে আর সময় রয়েছে মাত্র আড়াই মাস। পাকিস্তান আদৌ গেমস আয়োজন করতে পারবে কি না সেটা নভেম্বরের মধ্যে জানাবে। যদি গেমস করতে পারে তাহলে ২০২৬ কিংবা ২৭ সালের কখন করবে সেটা ডিসেম্বরে বলবে। পাকিস্তান গেমস আয়োজন না করলে তখন অন্য দেশকে স্বাগতিক হতে হবে। ২০১৯ সালে নেপালের কাঠমান্ডু-পোখরায় সর্বশেষ এসএ গেমস হয়েছিল।
বিওএ গঠনতন্ত্র সংস্কার করছে। সেটা অনুমোদনের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। তবে আসন্ন নির্বাচন বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের আলোকেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে– এমনটাই জানালেন অলিম্পিকের মহাপরিচালক, ‘আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে গঠনতন্ত্র ভেটিংয়ের (মতামত) জন্য পাঠানো হয়েছে। আইওসির কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার পর আবার সেটা বিওএর আনুষ্ঠানিক চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে হবে। এ আনুষ্ঠানিকতার আগ পর্যন্ত বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের আলোকেই কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল ২৯ নভেম্বর। সেটা অনিবার্য কারণবশত একদিন পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভা রয়েছে। ওই সভায় অন্যতম আলোচ্যসূচি নির্বাচন কমিশন।