যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এই মাসে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলনে কোনো শীর্ষ পর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তা অংশ নেবেন না। বরং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প সম্প্রসারণ ও জ্বালানি বাণিজ্য চুক্তি বাড়ানোর ওপর মনোযোগ দিচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্ট সরাসরি বিশ্বের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে জ্বালানি খাতে অংশীদারিত্ব নিয়ে কাজ করছেন, যা সাম্প্রতিক ঐতিহাসিক বাণিজ্য ও শান্তিচুক্তিতেও প্রতিফলিত হয়েছে।”
১০ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিত হবে কপ-৩০ সম্মেলন। এর আগে ৬ ও ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের প্রাক-সম্মেলন শীর্ষ বৈঠক।
এবারের সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনেরও নিচে, যা দুই বছর আগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত কপ-২৮-এর প্রায় ২০০ নেতার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। গত বছর আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত কপ-২৯-এ অংশ নেন ৭৫ জন নেতা।
ইতিমধ্যে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, কলম্বিয়া, চিলি, কেপ ভার্দে ও লাইবেরিয়ার সরকার প্রধানরা তাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিশেল মার্টিনও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন ভাইস প্রিমিয়ার ডিং শুয়েসিয়াং।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও জলবায়ু সংশয়বাদী সরকার পরিচালিত আর্জেন্টিনা এখনো জানায়নি তারা প্রতিনিধি পাঠাবে কি না।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জলবায়ু সংশয়বাদী নেতাদের উত্থান এবারের সম্মেলনের জলবায়ু-সংকট আলোচনাকে আড়াল করে দিতে পারে।
টিজে/টিএ