১০ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরে রানের খাতার খোলার আগেই আউট হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া বড় কিছু হয়নি, তবে ৯ রান করতেই তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। একইসঙ্গে বোলারদের দাপট ও সাইম আইয়ুবের বিধ্বংসী ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল পাকিস্তান।
এতদিন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের কীর্তিটি ছিল ভারতের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মার। ২০২৪ বিশ্বকাপ জিতেই তিনি ফরম্যাটটিতে অবসর নিয়েছেন। তাকে ছাড়িয়ে যেতে ৯ রান প্রয়োজন ছিল বাবরের। গতকাল (শুক্রবার) তিনি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে করেছেন ১৩ রান। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে থাকা বাবরের রান ৪২৩৪, ১২৩ ইনিংসে ৩৯.৫৭ গড়ে তার স্ট্রাইকরেট ১২৮.৭৭।
এ ছাড়া দুইয়ে নেমে যাওয়া রোহিত ১৫১ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৩২.০৫ গড় এবং ১৪০.৮৯ স্ট্রাইকরেটে ৪২৩১ রান করেন। চার হাজারের বেশি রান আছে কেবল আরেকজনের, তিনি সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপ জিতে ফরম্যাটটিতে রোহিতের সঙ্গে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার আগে তিনি ১১৭ ইনিংসে ৪৮.৬৯ গড় এবং ১৩৭.০৪ স্ট্রাইকরেটে করেন ৪১৮৮ রান। তালিকার শীর্ষ পাঁচে যথাক্রমে বাকি দুটি নাম জস বাটলার (৩৮৬৯) ও পল স্টার্লিং (৩৭১০)।
এদিকে, লাহোরে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের পক্ষে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস সর্বোচ্চ ২৫ ও অধিনায়ক দোনোভান পেরেইরা ১৫ রান করেন। বোঝাই যাচ্ছে প্রতিপক্ষ বোলারদের সামনে কতটা অসহায় ছিলেন সফরকারীররা। ১৯.২ ওভারেই তারা মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায়। পাকিস্তানের পক্ষে ফাহিম আশরাফ সর্বোচ্চ ৪, সালমান মির্জা ৩ এবং নাসিম শাহ ২ উইকেট শিকার করেন।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। অবশ্য কিছুটা ধীরগতিতে খেলা শাহিবজাদা ফারহান আউট হয়ে যান ২৩ বলে ২৮ রান করে। বাকিটা কাজ সেরেছেন সাইম আইয়ুব। ৩৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭১ রান করেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। বাবর অপরাজিত ছিলেন ১১ রানে। ১৩.১ ওভারেই ৯ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়ারা ৫৫ রানে জিতেছিল।
এসএস/টিএ