ক্যারিবিয়ান সাগরে আরেক নৌকায় মার্কিন বাহিনীর হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবিয়ান সাগরে সন্দেহভাজন আরেক মাদক বহনকারী নৌকায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ১৩ বার হামলা চালালো মার্কিন বাহিনী।

রোববার (২ নভেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সবশেষ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই অভিযানে চোরাচালান পথে মাদক বহনকারী একটি নৌকা লক্ষবস্তু করা হয়েছে। এই অভিযানে কোনো মার্কিন বাহিনীর ক্ষতি হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ সত্ত্বেও গত সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় সাগরে নৌযান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে মার্কিন বাহিনী।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে এক মাদক বহনকারী নৌকায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় অন্তত চারজন নিহত হন।

ভেনেজুয়েলা ঘিরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব হামলা চালানো হচ্ছে। ট্রাম্পের নির্দেশে ক্যারিবীয় অঞ্চলে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্যারিবীয় এলাকায় মার্কিন রণতরী পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এসব নৌযান ভেনেজুয়েলা থেকে আসছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এদের সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও দাবি ওয়াশিংটনের।

এদিকে ভেনেজুয়েলার ভেতরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও দেশটির আশেপাশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এয়ার ফোর্স ওয়ানে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি ভেনেজুয়েলার ভেতরে হামলার কথা বিবেচনা করছেন, জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না’।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতের অখণ্ডতা ও ওসমান হাদি ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতি Dec 18, 2025
img
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাতেই পদত্যাগ না করলে যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি জাতীয় ছাত্রশক্তির Dec 18, 2025
img
মেসির স্বপ্ন পূরণের মাঠেই ফাইনালিসিমা Dec 18, 2025
img
‘আগামী ৫৫ বছরেও যেন এ রকম কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা না হয়, সে জন্যই সব আয়োজন’ Dec 18, 2025
img
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের মামলার শুনানি ১২ জানুয়ারি Dec 18, 2025
img
হামজা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে ইচ্ছাপূরণ হলো লোলার Dec 18, 2025
img
পরিবারের সদস্যসহ ৬ জনকে নিয়ে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Dec 18, 2025
img
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও চাপা পোশাক পরতে বলা হতো: রাধিকা আপ্তে Dec 18, 2025
img
বিএনপি ও জামায়াতের নেতারাও আমার জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াবে : হাসনাত আবদুল্লাহ Dec 18, 2025
img
‘জোর করে চুম্বনের চেষ্টা’, বাবার বয়সি পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মালতীর Dec 18, 2025
img
‘ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার’ Dec 18, 2025
img
নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারবে বাংলাদেশ Dec 18, 2025
img
বিলাসিতা বা আভিজাত্য আমাকে কখনোই খুব একটা টানেনি: ঈশিতা Dec 18, 2025
img
সব জুলাইযোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি : সামান্তা শারমিন Dec 18, 2025
img
জাকির খানের নিরাপত্তা চান মা, থানায় জিডি Dec 18, 2025
img
এমন বন্ধু চাই যে ছেড়ে চলে যাবে না: সোহিনী সরকার Dec 18, 2025
img
স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রেখেই জননিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের Dec 18, 2025
img
ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করলেন তারেক রহমান Dec 18, 2025
img
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেকের আগেই বরখাস্ত ইতালির অধিনায়ক Dec 18, 2025
img
গান জনপ্রিয় হওয়ায় 'ধুরন্ধর' দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন বাহরিন র‍্যাপার Dec 18, 2025