চাঁদাবাজির অভিযোগে বাতিল করা কমিটিগুলো পুনর্বহালের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন। গতকাল রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজ আইডি থেকে দেওয়া এক পদত্যাগপত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেবা তাহসিন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম দেশে অনিয়ম আর দুর্নীতি হবে না।
অফিসে সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা থাকবে। কিন্তু আমাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এ জন্য গত তিন মাস ধরে ভেবেচিন্তে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
লিখিত পদত্যাগপত্রে কাজী জেবা তাহসিন উল্লেখ করেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বরত ছিলাম।
এই পথচলাটা আমার জীবনের এক মূল্যবান অধ্যায়। তবে কিছু মাস আগে বৈছাআ সারা দেশের কমিটি স্থগিত করা হয়, কিন্তু আজকে পুনরায় আবার এ কমিটি সচল করার পর আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি।’
পদত্যাগপত্রে কাজী জেবা আরো লিখেছেন, ‘এই পদ থেকে সরে গেলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আমার ভালোবাসা, বিশ্বাস ও দায়বদ্ধতা আগের মতোই অটুট থাকবে। আমি সব সময় এই আন্দোলনের পথে থাকব, সেটা হয়তো ভিন্ন ভূমিকায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কোনো নেতার আলোচিত চাঁদাবাজির ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত করা হয়। ওইদিন রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ।
গতকাল (২ নভেম্বর) রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে সারা দেশের সব কমিটির ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। এ স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করার এ ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুরের মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন।
এমকে/এসএন