ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার ও জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার (৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনেও গোপীনাথপুর ও হামিরদী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টার দিকে লিটন মাতুব্বরের দলের মিন্টু নামের এক যুবককে মারধরের জেরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ভাঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার বিকেলে লিটন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মুন্সীর দলীয় লোকজনের মধ্যে একটি জমি নিয়ে সালিশ বৈঠক বসার কথা ছিল। কিন্তু সালিশকে কেন্দ্র করে বিকেল ৩টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ওই ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হন।
ওই সংঘর্ষের জেরে ও ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার ইউনিয়নের গোপীনাথপুর ও হামিরদী গ্রামে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকালে কুদ্দুস মুন্সীর লোকজন লিটন মাতুব্বর গ্রুপের মিন্টুকে মারধর করলে দুই পক্ষই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে দেশীয় অস্ত্র—ঢাল, টেটা, কালি, কাতরা ও ইটপাটকেল নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে হয় তাদের মধ্যে। এতে ৯ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের বলেন, সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৯ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। একজনকে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, গতকালের (রোববার) সূত্র ধরে আজ (সোমবার) সকালে একই গ্রামের দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ইউটি/টিএ