পাঁচ দফা দাবি আদায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়েছেন। অন্য শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রতিনিধি দলটি যমুনায় যায়। প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া একাধিক শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, যমুনায় যাওয়া শিক্ষকদের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন– মুখ্য সমন্বয়ক গাউসুল আজম শীমু, সাধারণ সম্পাদক মোছা. রিমা খাতুন, সমন্বয়ক এম এ সালাম, মো. আসাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন এবং জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ। এর আগে সকালে যমুনা অভিমুখে লং মার্চ করার সময় পুলিশ কদম ফোয়ারায় ব্যারিকেড দেয়। পরে শিক্ষকরা রাস্তা বন্ধ করে বসে পড়েন। এসময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে, প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকরা দাবি করছেন, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তাদের তিনজন শিক্ষক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ‘আমার শিক্ষক আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে স্লোগানে আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রেস ক্লাব চত্বর মুখর করে রেখেছেন। শিক্ষকদের পাঁচ দাবি হলো– ১. অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি সুনিশ্চিত করতে হবে; ২. সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে; ৩. বিশেষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ উচ্চ উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে; ৫. ছাত্রছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে এবং সব চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করতে হবে।