মুক্তি মিলছে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দির

যাবজ্জীবন বা ৩০ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সাজা ভোগ করেছেন, এমন ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক আদেশ (প্রজ্ঞাপন নং-১৪৩) জারি করা হয়েছে এবং আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বন্দিদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে কারা অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে। কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই ৩৭ জন বন্দির অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় সাজা ভোগ করেছেন।

এই বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, যাদের সাজা ছিল ৩০ বছর বা যাবজ্জীবন, তাদের মধ্যে যেসব বন্দি রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছে, তাদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, আচরণ ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে সরকার তাদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরো জানান, এই আদেশ অনুযায়ী সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কারো অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারো ৭ বছর বা ৬ বছর। সবগুলোই মওকুফ করাতে এবার তারা মুক্তি পাবেন।

জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, এদের মধ্যে কোনো নারী বন্দি নেই, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তিনি আরো জানান, এই আদেশ অনুযায়ী সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কারো অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারো ৭ বছর বা ৬ বছর। সবগুলোই মওকুফ করাতে এবার তারা মুক্তি পাবেন।

জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, এদের মধ্যে কোনো নারী বন্দি নেই, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশই খুন (মার্ডার) মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং তারা দেশের বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ Dec 21, 2025
img

বিবিএসের জরিপ

দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষের নিজস্ব ফোন নেই Dec 21, 2025
img
আমি আপনাদের এলাকার জামাই, ভালোবাসা দিবেন : গিয়াস উদ্দিন তাহেরি Dec 21, 2025
img
কুয়াশার চাদরে ছেয়ে গেছে তেঁতুলিয়া, ফের কমল তাপমাত্রা Dec 21, 2025
হাদির জানাজায় এসে যা বললেন আহমাদুল্লাহ Dec 21, 2025
img
ভোট দেওয়ার জন্য সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন Dec 21, 2025
সোনাক্ষীর স্পষ্ট সিদ্ধান্তে নবদম্পতির সম্পর্কের সুস্থতা Dec 21, 2025
img
সম্পদ অর্জনে ইতিহাস গড়লেন ইলন মাস্ক, অঙ্ক ছুঁয়েছে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে Dec 21, 2025
img
জেমস বন্ডকে দেখা যাবে নেটফ্লিক্সে Dec 21, 2025
img
মিরপুরে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা Dec 21, 2025
img
বাড়ছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সংঘর্ষ, বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ Dec 21, 2025
img
বিশ্বের দীর্ঘতম রাস্তা : ইউ-টার্নহীন ৩০ হাজার কিলোমিটারের বিস্ময়কর সড়ক Dec 21, 2025
img
২ ম্যাচ হাতে রেখেই অ্যাশেজ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া Dec 21, 2025
img
মুসলিম ব্রাদারহুডের সন্ত্রাসী তালিকাভুক্তি নিয়ে ঘোষণা আসতে পারে: মার্কো রুবিও Dec 21, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ Dec 21, 2025
img
পুয়ের্তো রিকোতে মার্কিন সেনা মোতায়েন জোরদার Dec 21, 2025
img
বীর সন্তানকে সম্মাননা জানানো সবার দায়িত্ব : জামায়াতে আমির Dec 21, 2025
img
আজ ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান Dec 21, 2025
img
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা Dec 21, 2025
img
আজ থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব কার্যক্রম নিয়মিত চলবে Dec 21, 2025