দেশ এখন নির্বাচনমুখী। নানা আশঙ্কার মধ্যেও অনেকের প্রত্যাশা, সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নির্বাচিত সরকার আসতে যাচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন গত ১১ অক্টোবর চট্টগ্রামে নির্বাচনবিষয়ক এক কর্মশালায় বলেছেন, নির্বাচন আয়োজনে নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য ভেতর থেকে, বাইরে থেকে অনেক শক্তি কাজ করবে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ধারণাও অভিন্ন। এরই মধ্যে গত ১ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা। তাঁরা সশস্ত্র বাহিনীর সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনা সদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
সামরিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচনের নিরাপত্তায় যেসব বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন তাঁদের মনোবল দৃঢ় রাখার সহায়ক পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা এখনো চলমান। বিশেষ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে সক্রিয় একটি চক্র। তারা চায় না যে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ আসুক। এই পরিস্থিতির মধ্যেও সশস্ত্র বাহিনীর কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা যে তারা সব অপতৎপরতা রুখে দিয়ে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত থেকে একটি সুষ্ঠু, নিরাপদ, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সার্বিক এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে বেশকিছু হুমকির বিষয় চিন্তা করতে হচ্ছে। প্রথম কাজ হবে কোন জায়গা থেকে এই হুমকি আসতে পারে সেগুলো চিহ্নিত করা। এটি চিহ্নিত করতে পারলে অ্যাড্রেস করা সহজ হবে। আগে রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে হবে। দেশের অভ্যন্তর থেকে এবং বাইরে থেকেও এই হুমকি আছে বলে অনেকে মনে করে।
অভ্যন্তরীণ হুমকিগুলোর মধ্যে রয়েছে আগের শাসকদের অনুসারীরা, যারা চায় না যে দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার আসুক। চায় না এই কারণে যে তাদের ক্ষমতাচ্যুতির কারণে দেশ ভালো আছে—এই বাস্তবতা তৈরি হোক। তারা চাইবে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলতে। তাদের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশও পরোক্ষভাবে যুক্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করে। নিরাপত্তা বিঘ্নকারীরা দেশের বাইরে থেকে আর্থিক এবং অন্যান্য সহযোগিতা পেতে পারে। কাদের মাধ্যমে এই অপচেষ্টার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে পারে তাদের চিহ্নিত করা দরকার। কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব থেকেও। এটা দেশের সব এলাকায় হয়তো হবে না, যেখানে দুই পক্ষের জনসমর্থন প্রায় সমান সেখানে হয়তো কম হবে। কিন্তু জনসমর্থনের ব্যবধান যেখানে বেশি সেখানে পেশিশক্তির ব্যবহার হতে পারে। বড় দলগুলো যেমন বিএনপির প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করেও দলীয় কোন্দল বজায় থাকতে পারে। এরপরে রয়েছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে তিন লাখের ওপরে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র দেশের বাইরে চলে গেছে, তা-ও বলা যায় না। কারণ বিদেশে নিয়ে গেলে সেখানে তো চাহিদা থাকতে হবে। প্রতিবেশী দেশে তেমন চাহিদা আছে বলেও মনে হয় না। মায়ানমারে এসব অস্ত্র সহজলভ্য। সেখান থেকে দেশে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র আসছে বলে খবর পাওয়া যায়। রাখাইন থেকেও হুমকি রয়েছে। জুলাই গণ-আন্দোলনের সময় থানা লুট হয়েছে। পুলিশের অনেক অস্ত্র খোয়া গেছে। সেগুলো সব উদ্ধার করা হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর আসেনি। এই অবস্থায় নির্বাচনী নিরাপত্তায় সশস্ত্র বাহিনীর ৯০ হাজার সদস্য যথেষ্ট কি না সেই প্রশ্ন রয়েছে। দেশে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীরও রয়েছে। আনসার সদস্য রয়েছে ৫০ লাখের ওপরে। যদিও তাদের মনোবল ততটা শক্ত বলে মনে হয় না। পুলিশ আছে। এসব বাহিনীর মনোবল বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও যৌথ কার্যক্রমের প্রজেকশনটা এখনই করতে হবে। এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। মিডিয়ার মাধ্যমে অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো বাড়তে পারে। এর মাধ্যমে ধর্মীয়সহ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সহিংসতা ঘটতে পারে। সমাজে নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এর নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা যদি এখনই না নেওয়া হয়, যারা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে তাদের মনোবল দুর্বল করার অপচেষ্টা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সমস্যা গভীর হতে পারে।’
তিনি সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বেশ কয়েকজন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ সম্পর্কে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর মনোবল দুর্বল করার জন্য কোনো একটি পক্ষ ক্রমাগত অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এটা সত্য। এটাও দেশকে অস্থিতিশীল করার পার্ট অব দ্য গেম। আমরা যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধীকে প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করি সেটি ঠিক হবে না। কেউ অপরাধ করে থাকলে তার সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার হওয়া দরকার। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকেই কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এমন ধারণা প্রচার করা হচ্ছে যে সেনাবাহিনীই এটা করেছে। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে যে সময়ে অভিযোগ তাঁরা কেউই সেই সময়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না। অন্য সংস্থায় ছিলেন। তাঁদের দায় সেনাবাহিনী নেবে না, নেয়নি। কিন্তু কৌশলে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চলমান। সামনের নির্বাচনের মতো চ্যালেঞ্জিং কাজে সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনী যাতে প্রো-অ্যাক্টিভ ভূমিকায় না থাকতে পারে তার জন্যই এই অপচেষ্টা চলছে। শুধু সেনাবাহিনী নয়, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোয় যাঁরা বর্তমানে কর্মরত তাঁরাও একধরনের শঙ্কার মধ্যে কাজ করছেন বলে মনে হয়। হয়তো তাঁরা মনে করছেন, দু-এক বছরের জন্য এখানে এসেছি। আবার তো নিজ বাহিনীতে ফিরে যেতে হবে। বেশি তৎপর হলে পরে সমস্যা হতে পারে। হতে পারে দায়সারাভাবে কোনো রকম সময় পার করছেন তাঁরা। এই অবস্থা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকির। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সঠিক তথ্য পেতে হবে। সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য ইন্টেলিজেন্স দরকার।’
সরকারের কাছ থেকে কোনো বাধা ছাড়াই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছেন দেশে অস্থানকারী কিছু অতিচেনা মুখও। তাঁদের এই অপতৎপরতা সম্পর্কে ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, ‘সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে সরকারের, বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু সে রকম কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।’
সামরিক বিশেষজ্ঞ ও ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহেদুর রহমান (অব.) বলেন, ‘বলা যায় নির্বাচনী ট্রেন তার ট্র্যাকে উঠে পড়েছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, গন্তব্যে পৌঁছার এই যাত্রা নির্বিঘ্ন ও আনন্দমুখর হবে তো?’
একটি উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি উপাদানের ইতিবাচক উপস্থিতি প্রয়োজন। প্রথম উপাদান হচ্ছে জনগণ। জনগণ কি তৈরি? পর পর তিনটি প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর জনগণ মূলত মুখিয়ে আছে তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য। ২০০৯ সালের পর থেকে জনগণ গণতন্ত্রের চর্চা থেকে বঞ্চিত আছে এবং একটি জেনারেশন চলমান সেলুলয়েডের ফিতার মতো কেবল গণতন্ত্রের অবক্ষয় দেখেছে।
দ্বিতীয় উপাদান হলো রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়া। এই জায়গাটিতে কিছুটা সংশয় উপলব্ধ হচ্ছে। জুলাই সনদ, গণভোট, প্রতীক বরাদ্দ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি ও রাজনৈতিক বাহাস এখন অন্তর্ভুক্তি চেতনা ও সহনশীলতার গণ্ডি ছাড়িয়ে তিক্ততায় পর্যবসিত হয়েছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঐক্যের চেয়ে অনৈক্য সৃষ্টি করেছে। কোনো কোনো সংবিধান বিশেষজ্ঞ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পথনকশা অবাস্তব, অসাংবিধানিক ও অজ্ঞানতাপ্রসূত বলে আখ্যায়িত করেছেন। ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তির পর জুলাই বিপ্লবের এবং গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের সহযোদ্ধাদের মধ্যে এরূপ দ্বন্দ্ব বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। খুব দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছে নির্বাচনী ট্রেনের পথচলাটি সুগম করা প্রয়োজন।
তৃতীয় উপাদান হলো নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আরপিওর সংশোধনী এনেছে। কিছু সংশোধনী বিশেষ করে জোটবদ্ধ প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করা নিয়ে আনা সংশোধনীটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রত্যাশা, নতুন করে কোনো বিতর্ক উসকে না দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের প্রশিক্ষিত করা এবং অন্যান্য প্রায়োগিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
চতুর্থ উপাদান হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী, যারা নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময়ে ও পরে অনুকূল নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন উপলক্ষে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে। এটা স্বীকার্য যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে এবং আস্থা ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে। তবে শতভাগ প্রস্তুত—এই কথা বলার সময় এখনো হয়নি। আগামী তিন মাসে ঘাটতি পূরণের জন্য সঠিক নির্দেশনা ও কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। সশস্ত্র বাহিনীও প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলে অবহিত করেছে; জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনী প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত কিছু সশস্ত্র বাহিনী সদস্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এই বিষয়টি বিচারপ্রার্থী ও বিচারাধীন উভয়ের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা যেমন সাধারণ নাগরিক এবং বাহিনী সদস্যদের দাবি, তেমনই প্রত্যাশা যে ‘উইচ হান্টিং’ হবে না। একজন সশস্ত্র বাহিনী সদস্য সব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের শপথ নিয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহিনীর কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা যে তারা এই বিষয়গুলোর ঊর্ধ্বে উঠে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত থেকে একটি সুষ্ঠু, নিরাপদ, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পঞ্চম উপাদানটি হচ্ছে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি। এই জায়গাটিতে মূল প্রভাবকের ভূমিকাটি পালন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। আপাতদৃষ্টিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন যে ভারত আওয়ামী লীগ ব্যতীত নির্বাচনের পক্ষপাতী নয়।
এই পাঁচটি উপাদানের সঠিক রসায়নে নির্বাচনী ট্রেনটির মসৃণ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করত উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হবে—এটাই সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা।
ইএ/এসএন