গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর গত ৯ মাসে তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ৮০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী (নন-ইমিগ্র্যান্ট) ভিসা বাতিল করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করবেন তিনি। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।
নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর নথিবিহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে প্রথমে ওয়াশিংটন এবং পরে দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ, কাস্টমস পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী। অভিযানে হাজার হাজার মানুষকে আটক করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
যে ৮০ হাজার মানুষের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাদের সবাই যে নথিবিহীন অভিবাসী, এমন নয়। অনেকেরই বৈধ খণ্ডকালীন ভিসাধারী ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই ৮০ হাজার মানুষের মধ্যে ১৬ হাজার জনের ভিসা বাতিল হয়েছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে, ১২ হাজার জনের ভিসা বাতিল হয়েছে হামলা কিংবা সহিংসতায় সংশ্লিষ্টতার কারণে এবং ৮ হাজার জনের ভিসা বাতিল হয়েছে চুরির কারণে। বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত এদের সবার কাছে বৈধ খণ্ডকালীন ভিসা ছিল।
“যাদের ভিসা বাতিল হয়েছে, তাদের অর্ধেকই এই তিন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত”, রয়টার্সকে বলেন ওই কর্মকর্তা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত আগস্ট মাসে ৬ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়। ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও বসবাস, আইনভঙ্গ এবং ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেওয়া’র অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে এই শিক্ষার্থীদের ভিসা।
গত মে মাসে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছিলেন, তার মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে হাজার হাজার নন-ইমিগ্র্যান্টের ভিসা বাতিল করেছে এবং ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে। আরও বলেছিলেন, যাদের কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকারগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাদের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স
ইএ/এসএন