মুলাশাকে ভিটামিন-এ টমেটোর চেয়ে ২২ গুণ

শীতে বাজারে আসছে মুলাশাক। স্বাদে একটু তিতা তিতা লাগে বলে অনেকে এই শাক খেতে চান না। অথচ সহজলভ্য এই শাকটির পুষ্টিগুণ প্রচুর। মুলার চেয়ে মুলাশাকের পুষ্টিগুণ বেশি রয়েছে।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের তথ্যানুযায়ী, মুলাশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে। মুলাশাকে ভিটামিন-এ এর পরিমাণ (প্রায়) করলার চেয়ে ৭ গুণ, কাঁকরোলের চেয়ে ২২ গুণ, টমেটোর চেয়ে ২২ গুণ, শিমের চেয়ে ৪৫ গুণ, পালংশাক, লাউশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও বাটিশাকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রয়েছে। সব শাকসবজির চেয়ে ভিটামিন-সি দ্বিগুণ থেকে ৫০ গুণ বেশি রয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক মাত্র ৫০ গ্রাম মুলাশাক খেলে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিনের ভিটামিন-এ এর অভাব পূরণ হয়ে যায়। এ শাকে ভিটামিন-বি১ এর পরিমাণ সব শাকসবজির চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। এছাড়া মুলাশাকে জালিন নামক উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি১ এর অভাব পূরণ করে।

চলুন জেনে নিই মূলা শাকের উপকারিতা-

অ্যালার্জি
সালপ্রোফেন ইন্ডোল নামে পরিচিত এই শাকটিকে অ্যান্টিক্যান্সার উপাদান সমৃদ্ধ সবজির তালিকায় ব্রোকলি ও কপির পাশাপাশি অবস্থান দেয়া যেতে পারে। মুলাশাক গ্রহণ করলে অ্যালার্জি ও হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ক্যান্সার
গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, সবুজ রং এর মুলা শাক (Wild radish leaves) ফ্রি র‍্যাডিকেল বা মুক্তমুলক পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। গবেষকদের মতে, এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলি শরীরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে এটি শরীরকে রক্ষা করে থাকে।

ডায়াবেটিস মেলিটাস
মুলাশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে মলিবডেনাম, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ ফলিক এসিড রয়েছে। মুলাশাকে বিদ্যমান ফাইবার যে কোনো ফল থেকে প্রাপ্ত সুগার কম শোষণ করে এবং এর পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সতর্কতা
মুলা শাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট রয়েছে। অধিক পরিমাণে মুলা শাক গ্রহণ করার ফলে অক্সালেট জমাট বেধে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া ক্যালসিয়াম শোষণে অক্সালেট বাধা সৃষ্টি করে থাকে। যারা কিডনি বা পিত্তথলির বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তাদের মুলা শাক এড়িয়ে চলা উচিৎ।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ