বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোনো তথ্য ভুল থাকে, তবে সেটি বাতিল না করে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
অনেক ভোটার আইডি কার্ডে নাম, পিতামাতার নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা বা ছবি ভুল হয়ে থাকে। তবে সংশোধনের জন্য উপযুক্ত ডকুমেন্টস ও দলিলাদি অবশ্যই প্রয়োজন।
বুধবার নির্বাচন কমিশন জানায়, যারা দুইবার ভোটার হয়েছেন, তাদের দ্বিতীয়বারের ভোটার আইডি কার্ড বাতিল হবে এবং প্রথমবারের ভোটার আইডি কার্ডই সক্রিয় থাকবে। ফলে আপনার নাম্বার দুটি আইডি কার্ড থাকবে না, একটিই বৈধ হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
নিজের নাম বা জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য: জন্ম নিবন্ধন সনদ, এফিডেভিট হলপনামা, প্রত্যায়নপত্র।
বিবাহিত হলে: বিবাহ সনদ।
পিতামাতার নাম পরিবর্তনের জন্য: পিতামাতার ভোটার আইডি কার্ড, ভাইবোনদের আইডি কার্ড, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্ত্রীর আইডি কার্ড বা অন্যান্য স্বীকৃত দলিল।
বয়স সংশোধনের জন্য: ডাক্তারি রিপোর্ট বা সার্টিফিকেট, এফিডেভিট হলপনামা, ইউনিয়ন/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা থেকে প্রত্যায়ন পত্র।
অন্যান্য ক্ষেত্রে: বিদ্যুৎ বিল, জমির দলিল বা খাজনার কাগজ, শিক্ষা সনদ প্রয়োজনে দেখাতে হবে।
নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, অনলাইনে আবেদন করার পরও সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ বা বাতিল হয়ে গেলে নির্বাচন অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র প্রদর্শন করে আবেদন পুনরায় কার্যকর করা সম্ভব।
সংশোধনের সুবিধা হলো, আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সঠিক হলে পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন এবং বিদেশ যাত্রা সহ অন্যান্য কার্যক্রমে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হবেন না।
নির্বাচন কমিশন পরামর্শ দিয়েছে, সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি আগে যাচাই করে নিশ্চিত করুন, যাতে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং ঝামেলা এড়ানো যায়।
টিএম/এসএন