যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সতর্ক করে বলেছেন, চলমান সরকারি কার্যক্রমে স্থবিরতা (শাটডাউন) অব্যাহত থাকলে তিনি দেশজুড়ে ফ্লাইটের সংখ্যা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে বাধ্য হতে পারেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এ সতর্কতা দেন তিনি, যখন দেশটির এয়ারলাইনগুলো সরকার ঘোষিত অভূতপূর্ব ফ্লাইট হ্রাসের নির্দেশনা বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এরই মধ্যে ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে শুক্রবার থেকে ৪ শতাংশ ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই কাটছাঁটের পরিমাণ ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের অনুপস্থিতির কারণে আটলান্টা, সান ফ্রান্সিসকো, হিউস্টন, ফিনিক্স, ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউয়ার্কসহ অন্তত ১০টি বিমানবন্দরে শত শত ফ্লাইট বিলম্বিত হয়।
ফ্লাইটঅ্যাওয়ার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৫হাজার ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছিল।
ওয়াশিংটন ডিসির রিগ্যান ন্যাশনাল বিমানবন্দরে গড়ে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হয়েছে; সেখানে ১৭ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল ও প্রায় ৪০ শতাংশ বিলম্বিত হয়।
৩৮ দিনব্যাপী এই রেকর্ড শাটডাউনে ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী বেতন ছাড়া কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন, যার ফলে অনুপস্থিতির হার বেড়ে যাচ্ছে।
অনেক কন্ট্রোলারকে বৃহস্পতিবার জানানো হয় যে, আগামী সপ্তাহেও তারা কোনো অর্থ পাবেন না।
ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যাতে তারা রিপাবলিকানদের তহবিল পরিকল্পনাতে সম্মতি দেন এবং সরকারের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়।
এই চাপের অংশ হিসেবেই বিমান চলাচল অচল হওয়ার আশঙ্কা তুলে ধরা হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, রিপাবলিকানরাই এই স্থবিরতার জন্য দায়ী, কারণ তারা স্বাস্থ্য বীমা ভর্তুকি বাড়ানোর বিষয়ে আপস করতে রাজি নয়।
সচিব ডাফি সাংবাদিকদের বলেন, যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় এবং বেশি কন্ট্রোলার কাজে না আসেন, তাহলে আমাদের হয়তো ২০ শতাংশ পর্যন্ত ফ্লাইট কমাতে হবে। আমরা আকাশপথের তথ্য বিশ্লেষণ করবো এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো।
টিজে/টিএ