রূপচর্চায় আলুর ব্যবহার

বিশ্বজুড়ে প্রধান খাদ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম আলু। আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি অবগত। পটাসিয়াম ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ আলু খুব সহজেই অন্য ভোজ্য তরিতরকারির সঙ্গে একসঙ্গে রান্না যোগ্য।

কিন্তু, খাওয়ার বাইরেও আলু আমাদের উপকারে আসতে পারে। বলা হয়ে থাকে- আলুর রস, এমনকি কাঁচা আলু্ও ত্বকের জন্য উপকারী। অর্থাৎ রূপচর্চায় আলু হতে পারে অনন্য একটি উপাদান, যা একদিকে সহজলভ্য এবং অন্যদিকে দামেও বেশ সস্তা।

চলুন জেনে নিন, রূপচর্চায় আলুর ব্যবহারের কথা-

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
যদিও এখনও চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রমাণিত নয়, তবুও প্রচলিত একটি বিশ্বাস হলো- আলু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। ব্যবহারকারীদের দাবি অনুযায়ী এটি ত্বকের দাগ, ছুলি, ব্রণের দাগ এবং রোদে পোড়া দাগ হালকা করতে সহায়তা করে।

আলুর টুকরো অন্যান্য অম্লীয় উপাদান যেমন লেবুর রস ও দইয়ের সঙ্গে মিশ্রিত করে প্রাকৃতিক ফেস মাস্ক তৈরি করে তা ব্যবহার করলে ভালো কাজ করে।

ব্রণ দূর করতে
ব্রণ একটি সাধারণ অবস্থা, যা ত্বকের প্রদাহ থেকে তৈরি হয়। ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে আলুর বাকলের নির্যাসে প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই আলুর ছাল মুখে ঘষলে ব্রণ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে, মুখে এটি ঘষতে শুরু করার আগে চর্ম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

কালো দাগ
‘কেটলোকাস’ নামক ব্লিচিং এনজাইমের উপস্থিতির কারণে আলু ত্বকের কালো দাগ থেকে মুক্তি দেবে বলে বিশ্বাস করা হয়। যদিও অনেকে এটি বিশ্বাস করে ব্যবহার করছেন, তবে এটি এখনও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।

আলুর তৈরি ফেস মাস্কের উপকারিতা
বলা হয়ে থাকে, সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে আলুর ফেস মাস্ক চুলকানি ও বার্ধক্যজনিত অন্যান্য লক্ষণগুলি হ্রাস করতে সক্ষম। এটি মুখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলে এবং হাইপার-পিগমেন্টেশন (ত্বক কালো হবার জন্য দায়ী) হ্রাস করতে পারে।



সাবধানতা
ত্বকে আলু ব্যবহারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো অ্যালার্জি। আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তবে আপনাকে অবশ্যই প্রথমে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

অন্যথায়, এটি আপনার মুখে ঘষার আগে প্রথমে কানের লতিতে ঘষে পরীক্ষা করুন। ত্বক অ্যালার্জি সংবেদনশীল না হলে আলু ব্যবহারের তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: