ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নে সহায়তা করবে ফ্রান্স: ম্যাক্রোঁ

ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান প্রণয়নে ফ্রান্স সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। মঙ্গলবার প্যারিসে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে বৈঠকের পর তিনি এই ঘোষণা দেন।

গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট হতাশা এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকটে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সামরিক দখলে থাকা পশ্চিম তীরে সীমিত স্বশাসন পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং ফ্রান্সের মধ্যে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি ফিলিস্তিনিদের নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরির কাজ করবে।

ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের বলেন, এই কমিটি সমস্ত আইনি দিক: সাংবিধানিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য দায়ী থাকবে।

প্রেসিডেন্ট আব্বাস আমাকে যে খসড়াটি দেখিয়েছেন, সেটির বিকাশে এটি অবদান রাখবে এবং এই ধরনের একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সমস্ত শর্ত চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ফ্রান্স ২০২৫ সালের জন্য গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ($১১৬.৬২ মিলিয়ন) প্রদান করবে।

প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেন, আমরা সংলাপ ও শান্তির সংস্কৃতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একটি গণতান্ত্রিক, নিরস্ত্র রাষ্ট্র চাই, যা আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার, বহুত্ববাদ এবং ক্ষমতার পালাবদলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি হামাসসহ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো ইতোমধ্যে ১৪০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যারা ইসরায়েল-অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন মাতৃভূমির আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।

তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতির এই ঢেউয়ের নিন্দা করেছেন। তিনি তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের অবস্থানের প্রতিধ্বনি করে বলেন, এই স্বীকৃতি প্রদান মূলত ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জন্য তাদের পুরস্কৃত করার শামিল হবে।

তথ্যসূত্র রয়টার্স

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লকডাউন-অগ্নিসংযোগে নির্বাচনবিরোধী মহলেরও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে : হাবিব Nov 14, 2025
দিল্লি যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান Nov 14, 2025
img
কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না ট্রাম্প? Nov 14, 2025
img
চট্টগ্রামে জোড়া খুন তুচ্ছ ঘটনায় এনায়েত বাজারে প্রাণ গেলো ব্যবসায়ির Nov 14, 2025
img
পুসকাস পুরস্কারের দৌড়ে উঠলেন ইয়ামাল, ফের মনোনীত মার্তা Nov 14, 2025
ঘাতক লিমন আটক, ৫ বছরের সম্পর্কের দাবি Nov 14, 2025
রাজশাহীতে বিএনপির নারী কর্মীকে মারধরের অভিযোগ জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে Nov 14, 2025
img
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিচারকের ছেলের মৃত্যু, জানালেন চিকিৎসক Nov 14, 2025
img
রংপুরের নতুন ডিসি এনামুল আহসান Nov 14, 2025
img
তারেক রহমানের প্রধানমন্ত্রিত্ব দেখতে মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে : মো. আবুল কালাম Nov 14, 2025
img
হাসিনা আগেই টাকার বস্তা নিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে ভাগিয়ে দিয়েছে : এ্যানি Nov 14, 2025
img
রাতে মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমান জাপানের প্রধানমন্ত্রী! Nov 14, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আর কিছু পাওয়া যাবে না : রাজ্জাকী Nov 14, 2025
img
নিজেদের প্রতিষ্ঠানে নারী কর্মীদের ৫ মিনিট আগেও ছাড়েন না: নিলুফার চৌধুরী মনি Nov 14, 2025
img
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে দুর্বৃত্তদের আগুন Nov 14, 2025
img
খুশকি ও চুল পড়ার পেছনে কারণগুলো Nov 14, 2025
img
সরকারের তিন উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে: ডা. তাহের Nov 14, 2025
img
এবার বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিলেন শেখ হাসিনা Nov 14, 2025
img
নারীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে ৫ ঘণ্টা কর্মঘণ্টার কথা বলছে: সেলিমা রহমান Nov 14, 2025
img
আকর্ষণীয় হতে গিয়ে বিপদের মুখে অভিনেত্রী শার্লিন Nov 14, 2025