মুন্সীগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ কিশোরের নাম নাজাত মোল্লা (১৭)। সে সদর উপজেলার পূর্ব মাকহাটি গ্রামের দুইখ্যা মোল্লার ছেলে।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে মাকহাটি, কংসপুরা ও আশুরান এলাকায় ফের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিক মল্লিক ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ রায়হান গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অস্ত্র নিয়ে গোলাগুলিতে কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়।

আহত কিশোরের দাবি, স্কুল মাঠে খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ অন্ধকার থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলি তার কোমরে লাগে। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে, তা দেখতে পায়নি।

প্রায় ১৫ দিন যাবৎ ওই এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। এর আগে গত ১০ নভেম্বর সংঘর্ষে আরিফ মীর (৩৮) ও রায়হান খান (২২) নামের দুইজন নিহত হন। এর আগে গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংঘর্ষে আতিক গ্রুপের তুহিন নামের কিশোর নিহত হয়। 

মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গছে, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলিতে গুরুতর আহত নাজাত মোল্লা (১৭) নামের ওই কিশোরকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে ফের দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে এক কিশোর মাঠে খেলা করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। এর আগে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। ওই সমস্ত ঘটনায় দু-পক্ষের দুটি মামলা হয়েছে।

আরপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস পা রাখলেন ৭৭ বছরে Nov 15, 2025
img
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানি Nov 15, 2025
img
পাকিস্তানের সংবিধান পরিবর্তন, সেনাপ্রধান পেলেন গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন মুক্তি Nov 15, 2025
img

মঞ্জুরুল আলম পান্না

সাংবাদিকতার পুরস্কার হিসেবে পেলাম ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ Nov 15, 2025
img
জীবনের চ্যালেঞ্জ থেকে শিখেছি বিনয় : ইমরান হাশমি Nov 15, 2025
img

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের জন্য বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামবে Nov 15, 2025
img
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ Nov 15, 2025
img
দাদুর জীবনী পড়ে জেনেছি, কত পরিশ্রম করলে 'ফ্লপ মাস্টার জেনারেল' তকমা সরিয়ে মহানায়ক হওয়া যায় Nov 15, 2025
img
শেহনাজ গিলের স্বামীর জন্য মিউজিক্যাল শর্ত Nov 15, 2025
img
নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান Nov 15, 2025
img
জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে একদম বাইরে রাখা সমীচীন নয়: জিএম কাদের Nov 15, 2025
img
স্থগিত নয়, বাতিল জেমস-আজমতের কনসার্ট Nov 15, 2025
img
সোহানের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে হংকংকে ৮ উইকেটে হারাল টাইগাররা Nov 15, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ব্যর্থ হলে দক্ষ জনশক্তি তৈরিও বাধাগ্রস্ত হবে: বিআরটিএ চেয়ারম্যান Nov 15, 2025
img
ফি জমা দিতে পারিনি- কারিশমার সন্তানদের আকুতিকে ‘নাটক’ বলে আখ্যা হাইকোর্টের Nov 15, 2025
img
আল্লাহ যখন কিছু লিখে রেখেছেন, সেটা ঘটবেই: বাবর আজম Nov 15, 2025
img
নওগাঁয় বিএনপি নেতা বহিষ্কার Nov 15, 2025
img
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র অভিনেত্রী ভদ্রা আর নেই Nov 15, 2025
img
স্ত্রীর মামলায় গ্রেপ্তার হলেন হিরো আলম Nov 15, 2025
img
ভালোবাসা আর মানবতাই মানুষকে মহান করে: মিঠুন চক্রবর্তী Nov 15, 2025