চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘বাচাঁ পদ্মা, বাঁচাও দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্ত এতে বিএনপির জেলা কমিটির পদধারীরা অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার ঢাকা পোস্টকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা আমাদের জেলায় আসছে কিন্ত আমাদেরকে জানানো হয়নি। তাই আমরা অংশগ্রহণ করব না। আমরা এই বিষয়ে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা (দল) জানিয়েছে এটা দলীয় প্রোগাম নয়। বরং পদ্মা বাঁচানোর দাবিতে আয়োজিত একটা প্রোগাম। তাই আমরা অংশগ্রহণ করছি না।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া বলেন, পদ্মা বাঁচানোর অনুষ্ঠানের নামে নাটক করা হচ্ছে। আমরা দুঃসময়ে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি কিন্তু দলের মহাসচিব আমাদের জেলায় আসছে আমরা জানি না। আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জেলার নেতারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না।
তবে এই বিষয়ে জানতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
প্রসঙ্গত, পদ্মা নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা নিশ্চিত ও গঙ্গা-পদ্মার পানি বণ্টনে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির ‘বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গণসমাবেশ। এর আগে চাঁপাইনবাগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায় পদ্মা বাঁচানোর দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁপাইনবাগঞ্জের সাবেক তিন এমপি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত শাহজাহান মিঞা, আমিনুল ইসলাম ও হারুনুর রশিদের অনুসারীদের বাদ দিয়ে ২০২১ সালের শেষের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দলের হাইকমান্ড। এরপর থেকে জেলা কমিটির সঙ্গে সাবেক তিন এমপির বিরোধ লেগেই থাকে। বিএনপির দলীয় প্রোগামগুলোও আলাদা আলাদা ব্যানারে অনুষ্ঠিত হতো।
এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে আবারও জেলা কমিটির সঙ্গে সাবেক তিন এমপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
টিজে/টিএ