ছোটপর্দার অন্যতম ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। ট্রোলারদের যোগ্য জবাব দিতে তিনি কোনওদিনই পিছপা হন না। বর্তমানে জি বাংলার জনপ্রিয় মেগা ‘জোয়ার ভাটা’-তে দর্শক দেখছেন তাঁকে। দুই বোনের গল্পে শুরু থেকেই তাঁকে ‘পার্শ্ব অভিনেত্রী’ তকমা দেওয়ার চেষ্টা চললেও বারবার শ্রুতি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই ধারাবাহিকে তিনি দ্বিতীয় নায়িকা নন। আরাত্রিকা মাইতি ও শ্রুতি দাসকে কেন্দ্র করেই এখন টেলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত এই মেগা।
সম্প্রতি গল্পে এন্ট্রি নিয়েছেন ‘নিশা’র নায়ক ফাহিম মির্জা। চোর-পুলিশের রেষারেষিতে জমে উঠেছে গল্প। এরই মাঝে এক ট্র্যাকে বুড়ির ছদ্মবেশে শ্রুতিকে দেখেছেন দর্শক। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ানোর একটি দৃশ্য ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। সেই দৌড় দেখে কেউ কটাক্ষ করেন, “এ কেমন দৌড়!”, কেউ আবার কচ্ছপের সঙ্গে তুলনা টানেন। কারও মতে, নায়িকার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেই নাকি এমন দৌড়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেজায় সক্রিয় শ্রুতির নজর এড়ায়নি এই সব মন্তব্য। অবশেষে মঙ্গলবার ফেসবুকের দেওয়ালে একটি ‘ক্ল্যারিফিকেশন’ পোস্ট করে ট্রোলারদের কড়া জবাব দেন তিনি। পর্দার নিশা লেখেন, জীবনে কখনও কাউকে ক্ল্যারিফিকেশন দেননি, কিন্তু ‘জোয়ার ভাটা’ নিয়ে মানুষের অতিরিক্ত আগ্রহের কারণেই এই অজানা সত্যি জানানো প্রয়োজন বলে মনে করেছেন।
শ্রুতি জানান, ২০১৮ সালে কাটোয়ায় একটি বাইক দুর্ঘটনায় তাঁর বাঁ পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। সেই দুর্ঘটনার জেরে তাঁর সফট টিস্যু ইনজুরি বা হেমাটোমার সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলেছে এবং এখনও মাঝে মাঝে ফিজিওথেরাপি করতে হয়। এই সমস্যা সম্পূর্ণ সারার নয় বলেও জানান অভিনেত্রী।
তিনি লেখেন, বাঁ পায়ে ব্যালেন্সের অভাব, কোমরের L4-L5 অংশে গ্যাপ—এই সব শারীরিক সমস্যার মধ্যেই অভিনয় করে চলেছেন তিনি। অনেক কাজই তাঁকে দাঁতে দাঁত চেপে করতে হয়, যা আদতে করা বারণ। পা বেঁকে যাওয়া, শিরায় টান, পা ফুলে যাওয়া বা নীল হয়ে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা তাঁর নিত্যসঙ্গী, বিশেষত শীতকালে।
সবশেষে শ্রুতি লেখেন, ভাইরাল হওয়া বুড়ি সাজের দৌড় দেখে বহু কটাক্ষ এসেছে। তবে আজ তিনি এই অজানা কাহিনি বললেন, কারণ যাঁরা ‘নিশা’কে ভালোবাসেন, তাঁদের ‘শ্রুতি’কে চেনাও জরুরি। পোস্টের পরই অনুরাগীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রীর। কেউ লিখেছেন, “কারও কথায় কান দিও না”, কেউ আবার বলেছেন, “তুমি লম্বা রেসের ঘোড়া, সুস্থ থাকো।”
এবি/টিকে