কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের পিচ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের মাঝপথেই। সোশাল মিডিয়ায় পিচ কিউরেটরকে ধুয়ে দিতে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি জানান, টিম ম্যানেজমেন্টের অনুরোধে এমন পিচ বানানো হয়েছে। আর নিজেদের জালে নিজেরাই ফেঁসে যাওয়ার পর ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরও স্বীকার করলেন, এমন পিচই চেয়েছিলেন তারা। আর হারের জন্য নিজেদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন তিনি।
তৃতীয় দিনে একশরও কম রানে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত অলআউট হয়। ২০১০ সালের পর প্রথমবার ভারতের মাটিতে টেস্ট জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও ৩০ রানে জয়। প্রোটিয়ারা সাফল্যে মাতোয়ারা, এদিকে ভারতীয়রা হতাশার সাগরে ভাসছে। অবশ্য পিচ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি গম্ভীর। বরং নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করলেন তিনি।
আজ (রবিবার) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না। খেলার উপযোগী ছিল। টেম্বা বাভুমা তো রান করল। ওয়াশিংটন সুন্দরও ভালো ব্যাট করল। অক্ষর প্যাটেলও তো খেলল। খেলা যাবে না, এমন উইকেট তো ছিল না। জানি না কেন বারবার স্পিন সহায়ক পিচ বলা হচ্ছে! পেসাররা বেশি উইকেট পেয়েছে এই টেস্টে। ব্যাটারদের টেকনিক, মানসিক শক্তি এবং ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয় এ রকম পিচে। আমরা পারিনি। এমন পিচে রক্ষণ ভালো হওয়া দরকার।’
পিচ তাদের চাওয়ামতো হয়েছে বললেন কোচ, ‘আমরা যেমন পিচ চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনই পেয়েছি। কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় অত্যন্ত সাহায্য করেছেন। ভালো খেলতে না পারলে তো এমনই হবে। ১২৪ রান তাড়া করতে না পারার কোনো কারণ ছিল না।’
এমআর/এসএন